পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে বলে এ দিন সুপ্রিয় কোর্টের রায় দেওয়ায় ফের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্তি মিশ্র। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর বামনপুকুরে শুক্রবার বিকেলে যখন সভা করতে এলেন সূর্যবাবু ততক্ষণে রাজ্যের মানুষ জেনে গিয়েছেন পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীও থাকছে। স্বাভাবিক ভাবে সভার শুরুতেই সেই প্রসঙ্গ তুলে সূর্যবাবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “সেই মানলেন, তবু শুধু শুধু লোক হাসিয়ে জল গুলিয়ে খেলেন।” একই সঙ্গে নির্বাচন হওয়া নিয়ে যে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে তা নিয়ে তাঁরা খুশি বলেও জানান তিনি। এক দফা, দু’ দফায় ভোট করতে গিয়ে মমতা নিজের দফারফা করেছেন মন্তব্য করে সূর্যবাবূু বলেন, ‘‘৩৪ বছরে আমরা কতটা উন্নয়ন করেছি, আর দু’বছরে ওঁরা কতটা উন্নয়ন করেছেন তার উদাহরণ কামদুনির ঘটনা।” কামদুনি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে সূর্যবাবু বলেন, “ওনার হাতে সব দফতরের চাবি। এতো চাপ নিতে পারছেন না। এত চাপে মাথা কি ঠিক রাখা যায়?” |
তিনি আরও বলেন, “কেউ কেউ ওঁকে ৩৫৬ ধারার ভয় দেখাচ্ছে। ওঁদের তো সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে তাহলে উনি ভয় পাচ্ছেন কেন?” এর পরেই তাঁর মন্তব্য, “যদি সত্যিই ৩৫৬ প্রয়োগ হয়, তাহলে আমরা ওঁর লাল ঝান্ডা নিয়ে রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করব। উনি নিশ্চিন্তে কালীগাটের বাড়িতে ঘুমোন।” এ দিন একই মঞ্চ থেকেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে রেজ্জাক মোল্লা বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে জিতে কেউ বাবু হবেন না মানুষের উপর ভরসা রাখুন। তাঁদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তৈরি করুন।”
এ দিন হাসনাবাদের ভবানীপুরে জনসভায় জনসমাগম দেখে উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “মানুষ যে ভাবে সাড়া দিয়েছে তাতে পরিষ্কার সিপিএম ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছে।”
তিনি বলেন, “এখানকার মানুষ যখন সিপিএমের সঙ্গে ছিল তখন তাঁদের বলা হত সমাজসেবী। গত ৩৪ বছরে বামেদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে যখন তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন তখন তাঁদের বলা হচ্ছে খুনি। ওদের এই রাজনীতি মানুষ বুঝতে পেরেছে।” মিনাখাঁর মালঞ্চে বিজেপি-র নির্বাচনী সভায় দলের রাজ্য সম্পাদর রাহুল সিনহার মুখে অবশ্য তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস সকলের বিরুদ্ধেই ছিল সমালোচনার সুর। তিনি বলেন, “রাজ্যে আমাদের ক্ষমতা কম, তাই বলে এটা মনে করার কারণ নেই যে আমরা কারও দয়ায় লড়ছি।” |