|
|
|
|
তৃণমূল-ফব জোট ঘিরে চাপানউতোর পাঁশকুড়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পঞ্চায়েতে আঞ্চলিক ভাবে বিভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বোঝাপড়া নতুন কিছু নয়। তবে, পাঁশকুড়ার মতো জায়গায় তৃণমূলের সঙ্গে বামফ্রন্টের শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লকের জোট চমক বইকি! খণ্ডখোলা পঞ্চায়েতের কেশববাড় গ্রামের দেওয়াল লিখনও তেমনটাই বলছে। গ্রামের দেওয়ালে একই সারিতে বুথের ফব প্রার্থী সিদ্দিক মল্লিক, পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের প্রার্থী হামিদ খান ও জেলা পরিষদে তৃণমূলের অজিত সামন্ত-র সমর্থনে প্রচার জ্বলজ্বল করছে। উন্নয়নের স্বার্থে সিদ্দিক মল্লিককে সমর্থনের কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রার্থীও দেয়নি তৃণমূল। বরং বিরুদ্ধে লড়াই করছেন যিনি, সেই নির্দল প্রার্থী কমলকান্ত ভৌমিকের পিছনে সিপিএমের সমর্থন রয়েছে বলে গ্রাম সূত্রে খবর। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূল প্রার্থী দিতে না পেরে অযথা
বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। |
|
দেওয়ালে জোট: পাঁশকুড়ার কেশববাড় গ্রামে পার্থপ্রতিম দাসের তোলা ছবি। |
১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৩ পর্যন্ত চার বারের পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রাক্তন উপ-প্রধান সিদ্দিক মল্লিকও নিজেকে বামফ্রন্টের প্রার্থী বলেই দাবি করছেন। সঙ্গে তিনি এ-ও অনুযোগ করেন, “স্থানীয় বামফ্রন্ট নেতৃত্ব আমার সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। কিন্তু গ্রামের ভোটাররা জোট বেঁধে আমাকে প্রার্থী করেছেন। এখন কেউ যদি আমার হয়ে দেওয়াল লিখন করে আমি আর কী করব?”
তৃণমূলই বা সমর্থন করছে কেন?
তৃণমূলের খণ্ডখোলা অঞ্চল সভাপতি সুধাংশু ভক্তা বলেন, “কেশববাড় বুথে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী সিদ্দিক মল্লিক বামফ্রন্টের প্রার্থী হলেও সিপিএম বিরোধী। আর দীর্ঘ দিনের পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে এলাকার উন্নয়নে যুক্ত। তাই ওই বুথে কাজের লোক হিসেবে আমরা ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীকে সমর্থন করেছি। ওঁর হয়ে প্রচারও চালাচ্ছি।” তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব অবশ্য স্থানীয় স্তরের এই জোট সম্পর্কে বিন্দুবিসর্গ জানেন না বলে দাবি করেছেন। পাঁশকুড়া-১ ব্লক সভাপতি দীপ্তি জানা বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে জোট নিয়ে স্থানীয় নেতৃত্ব আমাদের কিছু জানাননি। তবে যদি এমন হয়ে থাকে তা ঠিক হয়নি।
খোঁজ নিচ্ছি।” এ দিকে, ফরওয়ার্ড ব্লকের পাঁশকুড়া ব্লক সম্পাদক নুর মহম্মদ বলেন, ‘‘ওই এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের দলের প্রার্থী সিদ্দিক মল্লিক, পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএমের মদন সামন্ত ও জেলা পরিষদের আসনে সিপিএমের প্রার্থী প্রাক্তন সভাধিপতি নিরঞ্জন সিহি রয়েছে। আমরা তিনটি স্তরেই বামফ্রন্ট প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার চালাচ্ছি। তৃণমূল ওই গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রার্থী দিতে না পেরে এভাবে দেওয়াল লিখে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।” |
|
|
|
|
|