|
|
|
|
ক্ষমা চাইতে হবে ওসিকে, রাস্তা আটকে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
পরোয়ানা ছাড়াই গভীর রাতে এক সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে চড়াও হয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। তদন্তের নামে পুলিশ বাড়ি ভাঙচুর ও মহিলাদের মারধর করেছে অভিযোগে শুক্রবার ভোর থেকে দাসপুরের গোপীগঞ্জে উত্তেজনা ছড়াল। ‘দাসপুর থানার ওসি ননীগোপাল দত্তকে ক্ষমা চাইতে হবে’ দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ সুলতাননগর-গোপীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন সকালে। ধৃত শেখ করিমকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিও তোলেন অবরোধকারীরা। প্রায় সাত ঘণ্টা
পর পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
এ দিকে, ধৃত শেখ করিমকে ঘাটাল আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক চোদ্দ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “বোমা-সহ ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভাঙচুর, মহিলাদের মারধরের অভিযোগ মিথ্যা।” |
|
সুলতাননগর-গোপীগঞ্জ সড়ক অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ করিমের নামে ইতিমধ্যেই দাসপুর থানায় তিনটি মামলা চলছে। সম্প্রতি করিম তোলাবাজির এক মামলায় জামিন পান। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএমের হয়ে এলাকায় প্রচারের কাজকর্ম করছিলেন করিম। সেই কারণে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব পুলিশের সাহায্যে তাঁকে ফের জেলে পোরার পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ সিপিএমের।
উত্তরবাড় এলাকায় করিমের বাড়িতে শুক্রবার গভীর রাতে তল্লাশিতে যায় পুলিশ। করিমের দাদা শেখ রসিদের অভিযোগ, “পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে জিনিসপত্র তছনছ করে।” করিমের মা রওসানা বেগম বলেন, “বাধা দিলে আমাকে এবং অন্তঃসত্ত্বা বৌমাকে পুলিশ মারধর করে। ওদের সঙ্গে কোনও মহিলা পুলিশও ছিল না। বিষয়টি আমরা আদালতে জানাব।”
দাসপুর থানার ওসি ননীগোপাল দত্তের দাবি, “করিমের কাছ থেকে বোমা পাওয়ার পরে গ্রেফতার করি। তবে, বাড়ির ভিতরে ঢুকিনি। তাই মহিলাদের মারধরের প্রশ্নই নেই।”
বিনা পরোয়ানায় পুলিশ তল্লাশিতে গেল কেন? ননীগোপালবাবুর দাবি, “নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়। এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী এলাকার কাউকে সঙ্গে রাখা উচিত ছিল। কিন্তু কেউ যেতে রাজি হননি।”
এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে এলাকায়। সিপিএমের দাসপুর ২ জোনাল কমিটির সম্পাদক ললিত কুমার সী বলেন, “করিম আমাদের সমর্থক। এ বার ওই পঞ্চায়েতে (খেপুত) আমরাই জিতব। তা বুঝে তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে এ কাজ করিয়েছে। মানুষ এর প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছেন।”
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাসপুর ২ ব্লক সভাপতি তপন দত্ত বলেন, “করিম সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী। দীর্ঘদিন ধরেই ও এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। সিপিএম ওকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েতে ভোটে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছিল। ওর ডেরা থেকে পুলিশ বোমা পেয়েছে।” |
|
|
|
|
|