|
|
|
|
|
মামলা করতেই টাকা ফেরত
নুরুল আবসার • কলকাতা |
|
আর্থিক লগ্নি সংস্থায় বিনিয়োগ করে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও টাকা ফেরত পাচ্ছিলেন না এক ব্যক্তি। সংস্থার পক্ষ থেকে চেক দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই চেক আবার বাউন্স করে। হাওড়া জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করে হাতেনাতে ফল পেলেন তিনি। শুনানি চলাকালীনই দু’দিনের মধ্যে আর্থিক লগ্নি সংস্থার প্রতিনিধিরা প্রাপ্য টাকা নগদে মিটিয়ে দিলেন ওই ব্যক্তিকে।
সুনীলকুমার হাজরা নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি সাঁতরাগাছিতে। গত ২১ মে দায়ের করা মামলার আর্জিতে সুনীলবাবু জানান, তিনি এমপিএস গ্রিনারি ডেভেলপার্স লিমিটেড নামে আর্থিক লগ্নি সংস্থার কাছ থেকে তিনটি কিস্তিতে তিনি ৩৩ হাজার ৩০০ টাকার এগ্রো-বন্ড কেনেন। ২০১০-২০১২ সালের মধ্যে প্রতিটি কিস্তিতে তিনি জমা দেন ১১,১০০ টাকা করে। প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার পর থেকে ৩৬ মাসের মাথায় তাঁকে ৪৩ হাজার ২৮৩ টাকা দেওয়া হবে, জানিয়ে তাঁকে সংস্থার তরফ থেকে সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়।
মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরে একাধিকবার তাগাদার পর সুনীলবাবুকে একটি প্রাপ্য টাকার চেক দেওয়া হয়। কিন্তু তা বাউন্স করে। সংস্থা থেকে তাঁকে পাওনা নগদে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি আর টাকা পাননি। এর পরেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। বিনিয়োগ বাবদ পাওনা ছাড়াও তিনি হয়রানির জন্য ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং ১০ হাজার টাকা মামলার খরচও দাবি করেন।
প্রথম শুনানির দিন ছিল ১৭ জুন। ওই দিনই আদালতে হাজির হয়ে এমপিএস-এর প্রতিনিধিরা জানান, সুনীলবাবুর পাওনা টাকা নগদে মিটিয়ে দিতে তাঁরা প্রস্তুত। একই সঙ্গে মামলার খরচ বাবদ আরও চার হাজার টাকা তাঁরা সুনীলবাবুকে দিতে রাজি হন। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয় ২৪ জুন। ওই দিন আদালতের সামনেই এমপিএসের প্রতিনিধিরা সুনীলবাবুকে টাকা দিয়ে দেন। সুনীলবাবুর আইনজীবী অমিতকুমার পাছাল বলেন, “চেক বাউন্স হওয়ায় ফৌজদারি আদালতে মামলা করা যেত। কিন্তু তার নিস্পত্তি হতে সময় লাগত অনেক বেশি। তাই অসদুপায় অবলম্বন করে ব্যবসা পরিচালনা, ক্রেতাদের ঠকানো এবং উপযুক্ত পরিষেবা না-দেওয়া সংক্রান্ত ‘ক্রেতা সুরক্ষা আইন’-এর ধারা বলে আমরা জেলা ক্রেতা আদালতে মামলা দায়ের করার করার সিদ্ধান্ত নিই।” এমপিএসের পক্ষে আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অনিন্দ্য বসাক বলেন, “মামলা একটা হয়েছিল। যা করণীয় করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|