|
|
|
|
|
মসজিদের সামনে গুলি
করে খুন, আতঙ্ক শিবপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
দিনেদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুরের শেখপাড়ায় একটি মসজিদের সামনে। মৃতের নাম মীরাজুদ্দিন খান (৪৯)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীরা হেঁটে এসে খুব কাছ থেকে ওই ব্যক্তিকে গুলি করে হেঁটেই চলে যায়। বহু লোকের চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটলেও ঘটনার পরে আতঙ্কে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ জানায়, এ দিন ওই মসজিদে নমাজ পড়ার জন্য বহু লোক জড় হয়েছিলেন। শেখপাড়া লেনের বাসিন্দা মীরাজুদ্দিনও নমাজ পড়ার জন্য আসছিলেন। মসজিদের সামনে আসতেই দুষ্কৃতীরা তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মীরাজুদ্দিন। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় চাপচাপ রক্ত। এলাকার পরিবেশ থমথমে। প্রথমে মাত্র দু’জন লাঠিধারী পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও পরে বিশাল বাহিনী নিয়ে আসেন হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার অজেয় রানাডে, ডিসি (সদর) নিশাত পারভেজ-সহ পদস্থ পুলিশকর্তারা।জওহর ভাই নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, পটকা ফাটার মতো একটি আওয়াজ পেয়ে তিনি উঁকি মেরে দেখেন, এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন। আশপাশে কেউ নেই। তিনিই ট্যাক্সি ডেকে মীরাজুদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। জওহর বলেন, “এমন ঘটনা শেখপাড়া লেনে আগে কখনও ঘটেনি। আমরা আতঙ্কিত। পুলিশের উচিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও সক্রিয় হওয়া।” পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার অন্য বাসিন্দারাও। এক বাসিন্দা শেখ হান্নান আলি বলেন, “এলাকায় যে আইনের শাসন নেই, এই ঘটনাতেই তা পরিষ্কার। দুষ্কৃতীরা খুন করে হেঁটেই পালিয়ে যাচ্ছে। অথচ কিছুটা দূরেই পুলিশ লাইন।” মীরাজুদ্দিনের স্ত্রী আসমা পারভিন বলেন, “আমার স্বামীকে দেড় বছর ধরে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। আমি নিশ্চিত সম্পত্তির জন্যই পরিকল্পনা করে আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে।” পুলিশেরও ধারণা, খুনের পিছনে রয়েছে সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ার নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। মীরাজুদ্দিনের বাড়ির লোকজন পরিবারেরই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বারবার খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই ব্যক্তিই সম্পত্তি না পেয়ে লোকজন নিয়ে মীরাজুদ্দিনকে খুন করেছে। ডিসি সদর বলেন, “সম্পত্তি নিয়ে পরিবারের দু’পক্ষের মধ্যে মামলা চলছিল। এ দিন মামলার দিন ছিল। তার আগেই খুন হন ওই ব্যক্তি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” |
|
|
|
|
|