দুর্ঘটনায় মৃত যুবক, ভাঙচুর পুলিশের গাড়ি |
শ্যালিকার বিয়ের ফুল কিনে ফেরার পথে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। গুরুতর জখম হয়েছেন মোটরবাইকে সওয়ার তাঁর দুই সঙ্গী। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হুগলির চণ্ডীতলার কৃষ্ণরামপুর বাজারের কাছে অহল্যাবাঈ রোডে। মৃতের নাম সেখ জুলফিকার মল্লিক ওরফে জুলু (৩০)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় চককেষ্ট গ্রামে। ঘটনার জেরে ক্ষিপ্ত জনতা ওই ট্রাক এবং পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ জঙ্গলপাড়া থেকে ফুল কিনে একটি বাইকে চেপে জুলু-সহ তিন জন বাড়িতে ফিরছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেই সময় পুলিশের একটি গাড়ি এবং একটি ট্রাক দ্রুতগতিতে আরামবাগের দিকে যাচ্ছিল। একটি বাঁকের মুখে পুলিশের গাড়িটি ওভারটেক করার সময় ট্রাকের সঙ্গে বাইকটির সংঘর্ষ হয়। বাইকটি ট্রাকের চাকায় ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই জুলুর মৃত্যু হয়। বাকি দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চোখের সামনে ওই দুর্ঘটনা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করেন। দু’টি গাড়িরই কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। পরে চণ্ডীতলা থানা থেকে অতিরিক্ত বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মৃতের দেহ ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
|
অসীমার পাশে ছিলাম, আছি, থাকব: মুখ্যমন্ত্রী |
ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের পাশে আছেন বলে ফের জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার পাণ্ডুয়ায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারসভার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অসীমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত হচ্ছে। ওকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। অসীমা অত্যন্ত ভাল মেয়ে। দলের একনিষ্ঠ কর্মী। আমি অসীমার পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।” মুখ্যমন্ত্রী যখন এ কথা বলছেন, তখন মঞ্চের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে অসীমা। তবে তিনি এ নিয়ে পরে মন্তব্য করতে চাননি।
১৮ জানুয়ারি ধনেখালি থানায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় তৃণমূলকর্মী কাজী নাসিরুদ্দিনের। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র এবং ধনেখালি থানার ওসি ষড়যন্ত্র করে নাসিরকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সিআইডি-র তদন্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে ১৩ মে সিবিআই-কে ওই রহস্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সিআইডি-কে তদন্তভার দিতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। কিন্তু সোমবার শীর্ষ আদালত সে আবেদন খারিজ করে দেয়। ওই নির্দেশ জেনে রাজ্যের আইন ও বিচারমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “আদালত যা বলেছে, সেটাই হবে।”
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • জাঙ্গিপাড়া |
ক্লাসে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন অরুণ সরেন নামে এক শিক্ষক। শুক্রবার হুগলির জাঙ্গিপাড়ার রাধানগরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। |