|
|
|
|
উন্নয়নেই জবাব, বার্তা মমতার |
গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় • পাণ্ডুয়া |
পঞ্চায়েত ভোটে জিতে উন্নয়নের মাধ্যমেই বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে চান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিকেলে হুগলির পাণ্ডুয়ার মহানাদ হাইস্কুলের মাঠে নির্বাচনী জনসভায় এসে পঞ্চায়েতের সঙ্গে উন্নয়ন কী ভাবে জড়িত, তা বোঝানোর চেষ্টা করেন।
মমতা বলেন, “গত ২৫ জুন পঞ্চায়েতের কার্যকাল শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন পঞ্চায়েত না হলে উন্নয়ন কী করে হবে? আমরা টাকা দেব। কিন্তু খরচ করবে কে? এত দিন তো বিধানসভা, লোকসভায় আপনারা পরিবর্তন এনেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে সেই সুযোগ, যেখানে পরিবর্তন না হলে স্থানীয় ভাবে উন্নয়নটাই স্তব্ধ হয়ে যাবে।” বামেদের শাসনকালে হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে ভুরি ভুরি ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, গত বিধানসভায় সিপিএম পাণ্ডুয়ায় ‘মাত্র ক’টা ভোটে’ জিতেছে, সেটাও ‘রিগিং করে’। |
|
পাণ্ডুয়ার সভায় মমতা। —নিজস্ব চিত্র। |
সিপিএম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিযোগ, এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’-এর মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। ফলে বহু আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি তারা। ওই অভিযোগের জবাব দিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা নাকি নমিনেশন জমা দিতে পারেননি! ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯৮টি সিটে প্রার্থী দিয়েছেন। আপনাদের ৩৫ বছরে কি করেছিলেন? সিঙ্গুর, আরামবাগ, খানাকুল, জাঙ্গিপাড়া, তারকেশ্বর কোথাও কেউ ভোট দিতে পারেনি।” বাম আমলে হাসপাতাল বাড়িতে চিকিৎসার পরিবর্তে বিরোধীদের হত্যা করার পরিকল্পনা করা হত বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
তবে রাজ্যে নারী নির্যাতনের ‘কিছু ঘটনা’ ঘটেছে বলে কার্যত স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এত বড় রাজ্য, এত মানুষ। ক্রিমিনালরা তো কোনও কোনও সময় ঘটিয়ে ফেলতে পারে। আগে পুলিশ কাজ করত না। এখন করে। এখন আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি।” সিপিএম আমলে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।
এর পাশাপাশি, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এবং রাজ্যের ক্ষমতার এসে তিনি উন্নয়নমূলক কী কী কাজ করেছেন, তার ফিরিস্তি দেন মমতা। তাঁর সরকার নদী ভাঙন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে ভাল কাজ করছে বলেও দাবি করেন। বক্তৃতার মাঝেই মঞ্চের বাঁ দিকে একটু হট্টগোল হতেই মুখ্যমন্ত্রী ‘তিনটি সংবাদমাধ্যমের নাম করে বলতে থাকেন, “আপনারা এ ভাবে খবর করার চেষ্টা করবেন না।” হট্টগোল সামলাতে দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত, কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদবেরা ছুটে যান। কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিয়ে মমতা বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন সব কিছুর দাম বাড়ছে ওদের জন্য। আর ওরা বলছে আমরা নাকি দাম বাড়াচ্ছি। ওরা বলে ১০০ দিনের কাজে রাজ্যকে টাকা দেয়। আর ৪০ হাজার কোটি টাকা যে কেটে নিচ্ছে! তোদের টাকা লাগবে না আমার।” জনতার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করছে। একটা কাজ করুন, পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে সবাই গিয়ে এক দিন বসে থাকি।” |
|
|
|
|
|