টুকরো খবর |
সালেমের উপর হামলার জেরে সাসপেন্ড চার
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
মাফিয়া ডন আবু সালেমকে জেলে গুলি করার ঘটনায় চার জনকে সাসপেন্ড করা হল আজ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ দেবেন্দ্র জগতাপ নামে আর এক কয়েদি তাকে গুলি করে বলে জেল সূত্রের খবর। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, আবু সালেমের চোট খুব একটা গুরুতর নয়। শুক্রবারই জেলে ফেরত নিয়ে আসা হয় আবু সালেমকে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার উচ্চ পর্যায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে এক জন জেল অফিসার এবং তিন জন কনস্টেবলকে। এই ঘটনার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। তবে একটি সূত্রের খবর, জেরায় দেবেন্দ্র জগতাপ স্বীকার করেছে যে আবু সালেমের সঙ্গে সে জেল থেকেই তোলাবাজির চক্র চালাত। তা নিয়েই মতবিরোধ হয় সম্প্রতি। আবু সালেমকে শিক্ষা দিতেই এক জন পরিচিতকে দিয়ে জেলে দেশি পিস্তল আনিয়েছিল সে। তবে রক্ষীদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে ওই ব্যক্তি পিস্তল নিয়ে জেলের ভিতর ঢুকল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার পর অবশ্য আবু সালেমের আইনজীবী সাবা কুরেশি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর দাবি, যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হবে এই শর্তেই ভারতের হাতে পর্তুগিজ কর্তৃপক্ষ আবু সালেমকে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু জেলে সে নিরাপদ নয়, তা ফের প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে দু’বার জেলে আক্রান্ত হল সে। এর আগে ২০১০ সালের জুলাই মাসে আর্থার জেলে থাকাকালীনও তার উপর হামলা হয়েছিল।
পুরনো খবর: জেলে গুলিবিদ্ধ আবু সালেম
|
উপজাতি নেতার হাতে রাশ ত্রিপুরা কংগ্রেসের
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
আচমকাই ত্রিপুরার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সুদীপ রায়বর্মণকে। দিল্লি থেকে কংগ্রেস হাইকমান্ড সুদীপবাবুর জায়গায় প্রদেশ সভাপতি পদে বসিয়েছে উপজাতি নেতা দিবাচন্দ্র রাঙ্খলকে। উনকোটি জেলার করমছড়া কেন্দ্র থেকে এ বারই কংগ্রেসের বিধায়ক হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া, বহু দিনই ধরেই প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন বিধায়ক আশিস সাহা। কংগ্রেস নেতা আশিস সাহা বলেন, ‘‘কিছুক্ষণ আগেই দিল্লি থেকে ত্রিপুরার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি সম্পাদক লুইজিনহো ফেলেইরো ফোন করে নতুন সভাপতির নাম জানান। তিনিই জানান, আমাকে প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে।’’ বিদায়ী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুদীপ রায়বর্মন জানান, ‘‘আমি সভাপতি পদ থেকে আগেই ইস্তফা দিয়ে এআইসিসি’র কাছে আগেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। সনিয়াজি তা গ্রহণ করায় আমি খুশি। আশা করছি, নতুন প্রদেশ সভাপতির নেতৃত্বে রাজ্য কংগ্রেস আরও শক্তিশালী হবে। বিশেষ করে উপজাতি মহল্লায় এখন কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।’’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের আগে এবং পরে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে জর্জরিত। প্রদেশ নেতৃত্ব বদলের সম্ভাবনা ছিলই। তা ছাড়া, এ বার হয়তো উপজাতি এলাকায় কংগ্রেস কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
|
গণদূত হত্যায় রাজসাক্ষী চালকের স্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
শহরের ‘গণদূত’ পত্রিকা অফিসে তিন কর্মী খুনের ঘটনা নতুন মোড় নিতে চলেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তথা নিহত গাড়িচালক বলরাম ঘোষের স্ত্রী নিয়তি এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত তথা পত্রিকার মালিক-সম্পাদক সুশীল চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হতে রাজি হয়েছেন। গত কাল বিচারকের কাছে এই মর্মে নিয়তি দেবী একটি জবানবন্দিও দিয়েছেন। গত ১৯ মে গণদূত পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে একদল দুষ্কৃতী পত্রিকার ম্যানেজার রঞ্জিত চৌধুরী, প্রুফ রিডার সুজিত ভট্টাচার্য ও চালক বরাম ঘোষকে হত্যা করে। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় পুলিশ প্রথম থেকেই খুনের ‘মোটিভ’ নিয়ে বিভ্রান্ত ছিল। ঘটনার প্রত্যক্ষদশী নিয়তি দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে করতেই তাঁর পরস্পর বিরোধী কর্তাবার্তা নিয়ে পুলিশের মনে সন্দেহ জাগতে শুরু করে। তখনই পুলিশ নিয়তি দেবীকে হেফাজতে নেয়। এর পরই গ্রেফতার করা হয় সুশীলবাবুকে।
|
ইম্ফলে জঙ্গি হানায় হত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বহিরাগত শ্রমিকদের ঘরে গ্রেনেড ছুড়ে দুই শ্রমিককে হত্যা করার জেরে আতঙ্ক ছড়ালো ইম্ফলে। বহিরাগত শ্রমিকদের প্রহরায় নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত কাল রাতে উরিপক তৌরাংবাম লেইকাই এলাকার একটি ভাড়া ঘরে অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিরা বাইরে থেকে গ্রেনেড ছুড়ে দিয়ে পালায়। গ্রেনেড ফেটে রোহিতকুমার দাস, রঞ্জন মাহাতো, শ্রীকুমার দাস, সুরেন্দ্র দাস, বিজয়কুমার দাস নামে পাঁচজন জখম হন। সকলেরই বাড়ি আদতে বিহারের বেগুসরাই জেলায়। স্থানীয় এক ব্যক্তিও স্প্লিন্টারের আঘাতে জখম হন। পরে হাসপাতালে রোহিত (২৮) ও রঞ্জন (২৪) মারা যান।
|
শুরু অমরনাথ যাত্রা
সংবাদসংস্থা • শ্রীনগর |
কড়া নিরাপত্তায় শুক্রবার সকালে শুরু হল ৫৫ দিনের অমরনাথ যাত্রা। ছাড়পত্র না থাকায় চার হাজারেরও বেশি তীর্থযাত্রীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ের পরে তীথর্যাত্রীদের সুরক্ষায় রাজ্য পুলিশের সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। অমরনাথ যাত্রীদের প্রথম দলটি রওনা দিয়েছে পহেলগাম দিয়ে। অন্যটি বালতাল দিয়ে।
|
ফের জঙ্গি-হানা
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীনগর |
সিআরপিএফ বাঙ্কারে গ্রেনেড হামলা চালাল জঙ্গিরা। শুক্রবার উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লার সোপোরের ঘটনা। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পুলিশের দাবি, গ্রেনেডটি নিশানাচ্যূত হয়ে রাস্তায় ফাটে। দু’দিন আগেই জওয়ানদের কনভয় নিশানা করে বোমা ছুড়েছিল জঙ্গিরা। নিহত হয়েছিলেন ৮ জওয়ান।
|
ওমরকে পাল্টা আডবাণীর |
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা নিয়ে ওমর আবদুল্লাকে জবাব দিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। সম্প্রতি সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন আডবাণী। ওই ধারায় কিছু বিশেষ সুযোগ-সুবিধে ভোগ করে জম্মু-কাশ্মীর। আডবাণীর নাম না করে এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর। ৩৭০ নম্বর ধারা বিলোপের “ভুয়ো দাবি” তুলে মানুষকে ঠকানোর চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার ব্লগে আডবাণী বলেছেন, “ওমরের সঙ্গে এই বিষয়ে বিজেপি-র মত নাও মিলতে পারে। কিন্তু, ঠকানোর মতো শব্দ ব্যবহার না করাই ভাল। আমরা শুরু থেকেই ৩৭০ নম্বর ধারার বিরোধী।” জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আন্দোলনের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন আডবাণী। তাঁর দাবি, বল্লভভাই পটেলের মতো কংগ্রেসের অনেক নেতাও জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার বিরোধী ছিলেন। আডবাণীর এই মন্তব্যের ফের জবাব দিয়েছেন ওমর। টুইটারে তাঁর প্রশ্ন, “বিজেপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে ৩৭০ নম্বর ধারা লোপের জন্য আডবাণী কী করেছিলেন তা জানালে ভাল হয়।”
|
২ ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা |
রাজ্যের সদ্য গঠিত আর্থিক অপরাধ শাখা অভিযান চালিয়ে সেচ ও পূর্ত বিভাগের দুই সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ পেল। শুক্রবার সকালে খগাড়িয়া, আরারিয়া এবং পটনায় তাঁদের অফিস এবং বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সত্যেন্দ্র কুমার সিংহ পূর্ত বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার খগাড়িয়ার কর্মরত। অন্য দিকে, অপর জন আরারিয়ার সেচ দফতরে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার মুকেশ কুমার সিংহ। এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) এস কে ভরদ্বাজ বলেন, “এদের কাছ থেকে যে হিসেব বর্হিভূত সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ে মামলা চলবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
শরিফকে আরও সময় |
দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরুর আগে পাকিস্তানের নতুন সরকারকে আরও সময় দিতে চায় নয়াদিল্লি। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সরকার সবে ক্ষমতায় এসেছে। দেশের পরিস্থিতি বুঝতে তাদের কিছুটা সময় লাগবে। তার পরেই আলোচনা শুরু করা উচিত। |
|