|
|
|
|
জঙ্গল ঘিরে কর্ডন |
কুমান্ডির জঙ্গল থেকেই অরবিন্দজি পলাতক, অনুমান
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
পুলিশ ও জওয়ান মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার জনের বাহিনী। আর সব মিলিয়ে মাত্র শ’দুয়েক মাওবাদী। তা সত্ত্বেও শুধু মাত্র পাহাড় আর জঙ্গলের রাস্তাকে কাজে লাগিয়েই নিরাপত্তা বাহিনীর নাগাল ছাড়িয়ে বেরিয়ে গেল মাওবাদীরা। পুলিশেরই একাংশের অনুমান, সেই দলে ছিলেন মাওবাদী গেরিলা আর্মির প্রধান অরবিন্দজি-ও। ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের দায়িত্বেও রয়েছেন এই অরবিন্দজি। গত ৫ দিন লাতেহারের কুমাণ্ডির জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে লাতেহার জেলার সশস্ত্র পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোবরা ও জাগুয়ার জওয়ানদের গুলির লড়াই চলছে। ঝাড়খণ্ড পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব কুমার বলেন, “আমাদের কাছেও খবর রয়েছে জঙ্গলের ভিতরে অরবিন্দজি রয়েছেন। তাই আমরাও জঙ্গল ঘিরে রেখেছি। প্রচুর মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে মাওবাদীরা।” বৃহস্পতিবার রাত থেকে অন্তত একশোরও বেশি ল্যান্ডমাইন ফাটিয়ে পুলিশ ও জওয়ানদের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব তৈরি করে জঙ্গল থেকে বেরোনোর রাস্তা তৈরি করছে মাওবাদীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় অবশ্য দু’পক্ষের গুলির লড়াই অনেকটাই কমেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে পাহাড় আর ঘন জঙ্গলের আড়াল দিয়ে সিংহভাগ মাওবাদীই পুলিশের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। মাইন বিছানো থাকার কারণে জঙ্গলের ভিতরে এগিয়ে যেতে পুলিশকে যে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, তাও মেনে নিয়েছেন ডিজিপি। পুলিশের দাবি, অন্তত আট জন মাওবাদী পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে। যদিও এখনও জঙ্গল থেকে কারও মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি। কুমাণ্ডির চারদিকে মানাতু, পিরি, আমুয়াটিকা, চটাম, গণেশপুরের মতো গ্রামগুলির মধ্যে দিয়ে পুলিশ ও জওয়ানরা কুমাণ্ডির জঙ্গল ঘিরে ফেলেছে। এক কথায় জঙ্গলে মাওবাদীরা একেবারে কোণঠাসা হয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাওবাদীদের অনেক বড় বড় নেতাই কুমাণ্ডি ছেড়ে বেরিয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মাওবাদীদের চারদিক থেকে ঘিরে গুলি চালানোর পিছনে অন্যতম কারণই ছিল অরবিন্দজিকে গ্রেফতার করা। উল্লেখ্য, ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস নেতাদের কনভয়ে হামলার পিছনে মূল মাথাই ছিল অরবিন্দজি। তবে জঙ্গলে ‘অপারেশন’ এখন চলবে বলেই জানান ডিজিপি। |
|
|
|
|
|