একটি ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার দায়ে এক মহিলাকে এক মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত। শুক্রবার এই নির্দেশ দেন বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ মানস বসু। সরকারি আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের মামলাটিতে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় বিচারক অভিযোগকারিণীকে এক মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলায় অভিযোগকারিণীর স্বামী, দেবর-সহ পাঁচ সাক্ষীকে আগেই ‘বিরূপ’ ঘোষণা করা হয়েছে। উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে মামলায় অভিযুক্তকেও বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।” সরকারি আইনজীবী জানান, নানুরের কুন্দ্রা গ্রামের বধূ নারায়ণী সর্দার পুলিশের কাছে দাবি করেন, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গত ১৫ মার্চ সকালে পড়শি রাম সর্দার তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। ঘটনার ১১ দিন পরে (২৬ মার্চ) তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু না করায় ওই বধূ আদালতের দ্বারস্থ হন। গত ২ এপ্রিল বোলপুরের এসিজেএম আদালতে অভিযোগ করেন তিনি। বিচারক পীযূষ ঘোষের নির্দেশে পরের দিনই অভিযুক্ত যুবক রাম সর্দারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ও ৫১১ ধারায় মামলা শুরু করে পুলিশ। গত ২৬ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। গত ৩০ এপ্রিলই এই মামলায় বোলপুরের এসিজেএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে নানুরের পুলিশ। বিচারক পীযূষ ঘোষ মামলাটি বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজের আদালতে পাঠান। বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ মানস বসুর এজলাসে গত ১-১৪ জুন পর্যন্ত (মোট চার দিন) মামলা চলে। তপনবাবু বলেন, “বিচার চলাকালীন অভিযোগকারিণী নারায়ণীদেবী নিজেই আদালতে দাঁড়িয়ে অভিযুক্ত রাম সর্দারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছি বলে জানিয়েছেন।” সরকারি আইনজীবী ও আদালত বারবার সতর্ক করলেও ওই বধূ মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে তপনবাবুর দাবি। তপনবাবু বলেন, “আদালতে দাঁড়িয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৪৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী আদালত নারায়ণী সর্দারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।” |