ঘটনার দশ মাসের মধ্যেই পড়শি মহিলাকে খুনের দায়ে এক যুবক যাবজ্জীবন সাজা দিল আদালত। সন্তোষ মাল নামে ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে শুক্রবার রামপুরহাট আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক গুরুপদ মণ্ডল ওই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সন্তোষ আলপনাদেবীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। তাতে বাধা পেয়েই তাকে খুন করা হয়। তবে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।” তিনি জানিয়েছেন, ২০১২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রামপুরহাটের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তপাড়ার একটি বাড়িতে খুন হয়েছিলেন আলপনা ধর (৪২) নামে এক মহিলা। শহরেরই একটি হোটেলের কর্মী, আলপনাদেবীর ভাই অশোক ধর থাকতেন তাঁর সঙ্গে। স্থানীয় বাসিন্দা গণেশচন্দ্র দত্তের বাড়িতে বিনা ভাড়াতেই তাঁরা থাকতেন। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর দিদিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অশোকবাবু দাবি করেছিলেন, অন্যান্য দিনের মতো ঘটনার দিন ভোর বেলাতেও অশোকবাবু হোটেলের কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আলপনাদেবীর রক্তাক্ত মৃতদেহ তিনি দেখতে পান। তাঁর চিৎকারে পাড়া প্রতিবেশী জড়ো হয়। খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়।
কল্যাণবাবু বলেন, “পুলিশ ৩৭৬ ও ৩০২ ধারায় মামলা শুরু করেছিল। ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত না হলেও ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পরে বিচারক ওই ঘটনায় সন্তোষ মালকে দোষী সাব্যস্ত করেন।” |