তৃণমূল নেতা তথা হাইস্কুলের শিক্ষককে ফোনে হুমকি দেওয়া ও রাস্তা আটকে মারধর করার অভিযোগে দুই সিপিএম সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিপিএম-তৃণমূল সংগর্ষ বাধে মহম্মদবাজারের বলিহারপুরে। তাদের দলের এক জন সমর্থক জখম হয়েছে বলে দাবি সিপিএমের। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, শিক্ষক তৃণমূল নেতাকে মারধরে অভিযোগে দু’জনকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের শুক্রবার সিউড়ি আদালতে তোলা হলে ১০ জেল হাজত হয়।
বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, “বৃহস্পতিবার দুপুরে আমাকে ফোনে হুমকি ও গালিগালাজ করে এক সিপিএম সমর্থক। বিষয়টি মহম্মদবাজারের ওসিকে জানাই। বিকেলে স্কুল থেকে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফেরার সময়ে মুরালপুুর লাগোয়া বলিহারপুরে পথ আটকায় রাজকুমার দাস, চিরঞ্জিৎ মিস্ত্রি, স্বপন বাউড়ি-সহ বেশ কয়েক জন সিপিএম কর্মী-সমর্থক। আমাকে মারধর করা হচ্ছে খবর পেয়ে তৃণমূল সমর্থকেরা এসে পড়ায় ওরা পালিয়ে যায়। কয়েক জনের নামে থানায় অভিযোগ করেছি।” সাঁইথিয়ার সিপিএম বিধায়ক ধীরেন বাগদির পাল্টা অভিযোগ, “বিকেলে মুরালপুর এলাকায় মিনিডিহি-নবগ্রামের একটি মাঠে আমাদের নির্বাচনী সভা ছিল। ওই সভায় যাওয়ার পথে রাজকুমার মোদককে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল। সমস্ত ঘটনাই ঘটেছে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। পুলিশ গিয়ে রাজকুমারকে উদ্ধার করে। অথচ পুলিশ আমাদের দুই সমর্থককে গ্রেফতার করল।” এর প্রতিবাদে এবং সিপিএম কর্মী-সমর্থককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে এই অভিযোগে শুক্রবার মহম্মদবাজার-মুরালপুর রাস্তায় অবরোধ করে সিপিএম। বিশ্বজিৎবাবু এর আগে সিপিএম, পরে কংগ্রেসে ছিলেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূলে রয়েছেন। বিশ্বজিৎবাবু-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সিপিএমের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, “জনসভায় যাওয়ার পথে নয়, ফেরার পথে আমাকে আক্রামণ করে ওরা। রাতে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রেখেছিল ওরা।” বৃহস্পতিবার রাতেই সাঁইথিয়ার কানাইপুর গ্রামে কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জেলা পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “এলাকায় পুলিশ রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |