শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মীদের ফের বদলি করা নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। গত ২১ জুন পুরসভার ১২ জন কর্মীকে বিভিন্ন বরো এবং অন্য দফতরে বদলি করা হয়েছে। তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পুর কর্মীদের একাংশের মধ্যে। যে সমস্ত কর্মীদের দফতর বদল করা হয়েছে তাঁদের অনেকেই বাম সমর্থিত কর্মী ইউনিয়নের সদস্য, কয়েকজন তৃণমূল ইউনিয়নের সমর্থক। তাই তাদের বদলি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন বাম এবং তৃণমূলের পুর কর্মচারী সংগঠন। অভিযোগ মানতে নারাজ পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্র খবর, যে ১২ জন কর্মীকে বদলি করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৮ জন সিটু সমর্থিত শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যাল এমপ্লয়িজ অ্যান্ড ওয়াকার্স ইউনিয়নের সদস্য। তাদের ৬ জনই সংগঠনের কার্য নির্বাহী সমিতির সদস্য।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের সম্পাদক জীবন নাথ। তিনি বলেন, “পুরসভায় বদলির কোন নির্দিষ্ট নীতি নেই। খুশি মতো বদলি করা হচ্ছে কর্মীদের। কাজ বুঝে নেওয়ার আগেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো হচ্ছে।” মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক বলেন, “রুটিন মাফিক বদলি করা হয়েছে। কাজের দক্ষতা দেখেই কর্মীদের বদলি করা হয়। দল দেখে তা করা হয়নি।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বদলি হওয়া পুরকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন প্রদীপ দে, জীবন নাথ, অজিত দাস, শুভঙ্কর দাস, প্রদীপ চক্রবর্তী, গৌতম ঘোষ, গৌতম বিশ্বাস, সঞ্জয় দে, রামচন্দ্র হেলা, সহিদুল ইসলাম, অর্ণব সিংহ, সুদীপ চৌধুরী। এর মধ্যে অনেক পুর কর্মীরাই কিছু দিন আগে এক দফতর থেকে অন্য দফতরে বদলি হয়েছিলেন। কাজ বুঝে নেওয়ার আগেই বারবার কেন এভাবে বদলি কার হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কর্মীরা। এই বদলি নিয়ে ক্ষুব্ধ দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের মহাসচিব কৃষ্ণ পাল। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার সব কর্মী আমাদের কাছে সমান। কিন্তু এভাবে বারবার করে বদলি করা ঠিক নয়। কর্তৃপক্ষ নিজেরা কাজ করতে পারছেন না কেবল কর্মীদের বাববার বদলি করছেন।” |