এলাকায় জল জমে ফি বছরের ভোগান্তি থেকে ক্ষোভ। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ থেকে পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট জাতীয় সড়ক আটকে রাখল পশ্চিম ধনতলার মহিলারা। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো থেকে প্রায় পৌনে তিনটে পর্যন্ত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক আটকে থাকায় লম্বা যানজট সৃষ্টি হয়। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ গাড়ির লাইনে আটকে পড়ে আটটি স্কুল বাসও। প্রায় চারশো স্কুল ছাত্র-ছাত্রী দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ পৌঁছাতেই মহিলারা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় কিছু লোকজনও। পরে প্রায় আধ ঘন্টার চেষ্টায় পুলিশ অবরোধকারীদের হঠিয়ে দেয়।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রমন বলেন,“পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তারা গিয়েই অবরোধ উঠিয়ে দেয়।” যদিও এলাকার মহিলাদের এই ধরণের উদ্যোগকে ভাল চোখে দেখছেন না উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন,“এত বছরে যেখানে কোনও কাজ হয়নি সেখানে ২ বছরে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। কাজ করতে সময় ও পরিকল্পনা দরকার। তাতে যদি কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করেন তাহলে আমার কিছু করার নেই।” সময় পেলে তিনি কাজ করবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন। এ দিকে অবরোধের বিষয়েও রাজনীতি হচ্ছে বলে মনে করছেন গৌতমবাবু। |
অবরোধে দীর্ঘক্ষণ আটকে থেকে বাড়ি ফেরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে স্কুল ছাত্ররা। স্থানীয় ডিএভি স্কুলের ছাত্র প্রতীক রায় বলেন,“স্কুল থেকে বেরিয়ে টিউশনি যাওয়ার কথা ছিল। অবরোধের ফলে সেটা অনিশ্চিত হয়ে গেল।” কাল স্কুলে ক্লাস টেস্ট রয়েছে নবম শ্রেণীর নিখিল শর্মার। সে বলে,“বাড়ি ফিরে তাড়াতাড়ি পড়তে বসার কথা ছিল, কিন্তু এত দেরি হয়ে যাচ্ছে, কি করব জানি না।” মিলনপল্লির সূর্য অগ্রবাল সামান্য অসুস্থ অনুভব করতে থাকে বাসের মধ্যেই। পড়ে তাকে নিচে নামিয়ে চোখে মুখে জল দেওয়ার পর সে সামান্য সুস্থ বোধ করতে থাকে। ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের পশ্চিম ধনতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই জল জমে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে তিতিবিরক্ত মহিলারা ঠিক করেছেন কাউকেই ভোট দেবেন না। স্থানীয় মামনি রায়, জয়া গোস্বামীরা অভিযোগ করেন,“সারা বছর জলের কথা জানাতে গেলে গড়িমসি করেন প্রধান সহ সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্য। কিন্তু ভোট এলেই তারই পাল্টা আমাদের খোঁজ করেন। তাই এবার ভোট দেব না। তবে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হওয়ায় এলাকার অন্য বাসিন্দারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। |