থাকতে দিতে আর খাওয়াতে বছরে খরচ ১৯ কোটি টাকা! কে জোগাবে এই অর্থ?
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলে বন্দি বাংলাদেশি নাগরিকদের থাকা-খাওয়ার জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই টাকা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবিও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
কারা দফতরের হিসেব, রাজ্যের সেন্ট্রাল ও জেলা জেল মিলিয়ে বন্দির সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশি বন্দি হাজার পাঁচেক। সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
বেআইনি ভাবে এ দেশে ঢুকতে গিয়ে ধরা পড়ছেন বাংলাদেশিরা। সাজার মেয়াদ শেষের পরেও তাঁদের অনেককে ও-পারে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না নানান আইনি জটিলতায়। ফলে মুক্তি পেয়েও জেলেই থাকছেন তাঁরা। এক কারাকর্তার কথায়, “জেলে তাঁদের বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াতে হচ্ছে। দিতে হচ্ছে অন্যান্য সুবিধাও।”
এই নিয়েই প্রশ্ন তুলে খুব সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখেছে কারা দফতর। খরচের হিসেব-সহ বন্দি বাংলাদেশিদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও দেওয়া হয়েছে। ওই বিদেশি বন্দিদের থাকা-খাওয়ার খরচ একটি অঙ্গরাজ্য বহন করবে কেন, প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। এক কারাকর্তার কথায়, “এ রাজ্যের জেলে বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য দেশের বন্দির সংখ্যা নগণ্য। তাই তাঁদের নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই। আমরা চিন্তিত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বন্দি নিয়েই।’’ কেন্দ্র ওই বন্দিদের জন্য অর্থ দিলে রাজ্যের উপরে চাপ কমবে বলে মনে করছে কারা দফতর।
খরচ চালানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে টাকা চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কারা দফতর বাংলাদেশি বন্দিদের জন্য পৃথক জেল তৈরি করার কথা ভাবছে। প্রেসিডেন্সি জেলের মধ্যে অনেকটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে। মহাকরণের খবর, সেখানে ওই পৃথক জেল গড়ার প্রস্তাব দিয়ে অর্থ দফতরে ফাইল পাঠানো হয়েছে দফতর। এক কর্তা বলেন, “বিভিন্ন সময়ে বিধানসভার স্থায়ী কমিটির সদস্যেরা জেল পরিদর্শনে গিয়ে বাংলাদেশি এবং অন্য বিদেশি বন্দিদের আলাদা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। কারা দফতরও মনে করে, বাংলাদেশিদের আলাদা রাখতে পারলেই ভাল। তাই প্রাথমিক ভাবে ২৫০ শয্যার আলাদা ব্যবস্থা করার কথাও ভাবা হয়েছে। |