|
|
|
|
তিন দিনেও বাঁধ মেরামতি শুরু হয়নি নামখানায়, জমিতে জল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নামখানা |
তিন দিন আগে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় নামখানা ব্লকের মৌসুনি পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রাম। নোনা জল ঢুকে মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষিজমিতেও জল দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু বর্ষার মরসুমে এখনও সেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরুই হল না। ফের অতিমাত্রায় বৃষ্টি হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বলে আশঙ্কা গ্রামবাসীদের।
নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কুমারেশ পণ্ডার দাবি, “ওই বাঁধ মেরামতির মতো টাকা আমাদের তহবিলে নেই। সেচ দফতরকে মেরামতির জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারা এখনও সে ভাবে কাজ শুরু করেনি। বর্ষার আগে না সারাতে পারলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের।” সেচ দফতরের মৌসুনি সাব-ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি বাঁধ মেরামত করতে। কিন্তু কোটালের ধাক্কায় যে ভাবে নদীর জল বেড়েছে, তাতে বাঁধ ভাঙা আটকানো যায়নি। দিন কয়েক পরেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে। সমস্ত বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
|
|
দু’কুল ছাপিয়ে। নামখানার কুসুমতলার কাছে ভেঙেছে বাঁধ। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে পূর্ণিমার ভরা কোটালের তোড়ে বটতলা নদী লাগোয়া বালিয়াড়া, কুসুমতলা, বাগডাঙার মতো চার-পাঁচটি গ্রামের সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েক হাজার বিঘা কৃষিজমি, ঘরবাড়ি ও মাছের পুকুর। দু’দিন পরে, বৃহস্পতিবারও কৃষিজমিগুলি কয়েক ফুট জলের তলায়। জোয়ারের সময় জল ঢুকছে। গ্রামবাসীদের অনেকেই জল ভেঙে যাতায়াত করছেন। ছোট ছোট মাটির রাস্তাতেও জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ২০০৯ সালে আয়লার সময়েও বটতলা নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। তার পরে সেচ দফতর থেকে বাঁধ মেরামতি করা হয়। কিন্তু তার পরেও একাধিকবার বর্ষার সময়ে নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকেছে।
এ বার সমস্যা আরও বেড়েছে পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায়। কেননা, এখনও নতুন পঞ্চায়েত গঠিত না হওয়ায় গ্রামবাসীরা কোথায় গিয়ে সমস্যার কথা জানাবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না। কুসুমতলার বাসিন্দা শ্রীকান্ত সাহু বা আব্দুল সেলাম খানের অভিযোগ, সেচ দফতরের গাফিলতিতেই ভাল ভাবে বাঁধ মেরামতি না হওয়ায় বারেবারে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। গ্রাম প্লাবিত হলেও এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ আসেনি। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রায় ৩০০ বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে প্রায় সাড়ে ৩০০ মাছের পুকুরও। |
|
|
|
|
|