প্রতারণার অভিযোগে ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগে ধৃত ‘পাত্র’ আবদুল রউফ শামিম ও তার তিন সঙ্গীকে বৃহস্পতিবার বহরমপুরের সিজেএম আদালতে হাজির করানো বিচারক সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী বিশ্বপতি সরকার বলেন, “বিচারক অলি বিশ্বাস ধৃতদের সাত দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন।”
ধৃত যুবক। |
নিজেকে ‘চিকিত্সক’ পরিচয় দিয়ে বুধবার বিয়ে করতে এসে ধরা পড়ে শ্রীঘরে গেল ধুলিয়ানের বাসিন্দা আবদুল রউফ শামিম ও তাঁর তিন সঙ্গী। দু’বারের পর তৃতীয় বার বিয়ে করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় ওই পাত্র। বহরমপুরের নওদাপাড়ার এক কিশোরীকে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রেজিষ্ট্রি করতে এসে ধরা পড়ে সে। বেরিয়ে আসে তার আসল পরিচয়। বিষয়টি জানতে পেরে পাড়া-প্রতিবেশীর ভিড় জমে যায়। বেগতিক দেখে পালানোরও চেষ্টা করে তাঁরা। কিন্তু তার আগেই প্রতিবেশীদের হাতে বন্দি হয়ে কপালে জোটে বেধড়ক মার। পাত্রের সাজও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। গ্রামের মানুষের মারের হাত থেকে রেহাই পায়নি পাত্রের তিন বন্ধুও। খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চার জনকেই গ্রেফতার করে। ধৃত সকলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
বহরমপুর থানার আইসি মোহায়মেনুল হক বলেন, “ধৃত পাত্র এর আগে দু’বার বিয়ে করেছে। প্রথম পক্ষের ছোট দুটি মেয়েও রয়েছে তার। ওই তথ্য গোপন করে নিজেকে ধুলিয়ান হাসপাতালের চিকিত্সক পরিচয় দিয়ে তৃতীয় বার বিয়ে করতে আসে ওই যুবক। তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে পাত্রের তিন বন্ধুর বিরুদ্ধেও। অভিযোগ পেয়ে চার জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।” |