|
|
|
|
মুখ্যমন্ত্রীর ‘সততা’ নিয়ে কটাক্ষ সূর্যকান্তর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি ও তমলুক |
“এক সময়ের সততার প্রতীক, মাত্র দু’বছরেই রাজ্যের মানুষের কাছে সারদার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন” বৃহস্পতিবার রামনগরে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ভাবেই কটাক্ষ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূযর্কান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট কোনও ভাবেই আটকাতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ভোটের দিন হয়তো কিছুটা এগোবে বা পিছোবে। যে কোনও মূল্যে আমরা ভোট আদায় করেই ছাড়বো।”
|
তমলুকের নিমতৌড়িতে দলীয় সভায় সূর্যকান্ত মিশ্র। নিজস্ব চিত্র। |
প্রচার সভার মোট পঞ্চান্ন মিনিটের বক্তৃতার আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর গোঁসা হয়েছে।
সূর্যবাবুর কথায়, “শুধু তৃণমূলের হাত থেকে তৃণমূলদের রক্ষা করার জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করানো প্রয়োজন।” রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজের আঁচলে গোটা মন্ত্রীসভা আর মহাকরণটাই বেঁধে ফেলেছেন। মন্ত্রীসভার তো ওল্টানো কচ্ছপের মত অবস্থা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে যতক্ষণ না তাদের সোজা করছেন ততক্ষণ তারা সোজা হতে পারেন না।” ২ বছরে ২ লক্ষ সরকারি আর ৭ লক্ষ বেসরকারি চাকরি করে দেওয়ার দাবিরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অসহিষ্ণুতা নিয়ে কটাক্ষ করেন সূর্যবাবু। তাঁর কথায়, “উনি লাল আতঙ্কে ভুগছেন। তাই কামদুনিতে সিপিএম, এমনকী মাওবাদীও দেখতে পাচ্ছেন।”
এ দিনই সন্ধ্যায় তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধের মাঠে সভা করেন সূর্যবাবু। তৃণমূলের সরকার আমলাতন্ত্র চালু করতে চাইছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই জেলায় তৃণমূলের প্রধানদের ক্ষমতা আগেই চলে গিয়েছে। প্রধানদের থেকে ক্ষমতা কেড়ে বিডিওদের দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে এমনটা আগে কখনও হয়নি।” জঙ্গলমহল প্রসঙ্গে সূর্যবাবুর মন্তব্য, “ওখানে লাঠিধারী পুলিশ নিয়োগ করে মাওবাদীদের মোকাবিলা করবে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাওবাদীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকে। লাঠি নিয়ে তার মোকাবিলা হবে কী ভাবে?” |
|
|
|
|
|