|
|
|
|
ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তার
মাঝেই প্রচার চলছে পূর্বের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ভোট হবে কি না ঠিক নেই। কিন্তু যদি হয়, তা হলে পূর্ব নির্বারিত সূচি অনুযায়ী (২ জুলাই) হাতে মাত্র আর চার দিন। এই প্রেক্ষিতে ঝুঁকি না নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মতো করে প্রচার সেরে নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার তমলুক, পাঁশকুড়া, নন্দকুমার, চণ্ডীপুর ও নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সিপিএম ও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের প্রচার করতে দেখা যায়। এ দিন সকালে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের রঘুনাথপুর গ্রামে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী কৌশিক বসু, কাকলী মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মলয়া বসু। মলয়াদেবী বলেন, ‘‘ভোট নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগামী কাল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে আছি। আমাদের আশা সময়মতো ভোট হবে। তাই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।”
একই কথা বললেন পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সিপিআই নেতা প্রভাত জানার। এ বারও পঞ্চায়েত সমিতি আসনের প্রার্থী প্রভাতবাবু এ দিন নিজের এলাকায় বাড়ি-বাড়ি প্রচারে যান। প্রভাতবাবু বলেন, “ভোট নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। তাই যে গতিতে প্রচার চলছিল, তাতে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে। তবে প্রচার বন্ধ করা হচ্ছে না। বাড়ি বাড়ি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি সময় মতো ভোট হবে।”
পাঁশকুড়া-১ ব্লকে ১২ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি সিপিএমের নিরঞ্জন সিহি। বৃহস্পতিবার সকালে পাঁশকুড়ার চাকদা, চাইপুর, রঘুনাথবাড়ি এলাকায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন নিরঞ্জনবাবু। তিনিও বলেন, “নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ভোট হবে ধরে নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।”
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তৃণমূলের মামুদ হোসেন নিজের এলাকায় এদিন দু’টি সভা করে বলেন, “নিজে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। দলীয় কর্মীদেরও ভোটের জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।”
এ দিকে, নির্ধারিত সূচি মেনেই ভোটকর্মীদের ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার শুরু হয়েছিল। চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। এদিন সকালে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক অফিসে গিয়ে দেখা যায় ভোট কর্মীদের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। তমলুক বিডিও অফিসে এক ভোটকর্মীর সঙ্গে বেআইনি ভাবে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকে পড়ায় গ্রেফতার হন সুশান্ত শাসমল নামে এক ব্যক্তি। তমলুক ব্লকের তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরার অভিযোগ, “সুশান্তবাবু শ্রীরামপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনে সিপিএম প্রার্থী পুতুল শাসমলের স্বামী। এদিন তিনি অন্য এক ভোটকর্মীর সঙ্গে জাল ভোট দিতে এসেছিলেন।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শক্তিপদ বেরা বলেন, ‘‘এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।” |
|
|
|
|
|