|
|
|
|
দুষ্কৃতীদের খোঁজে ইনাম ঘোষণা করে পোস্টার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
জেলা সদর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল দুই ভাই টোটন আর তারক বিশ্বাস। খুন, ধর্ষণ থেকে শুরু করে ডাকাতি বা তোলাবাজি কোন অভিযোগ নেই তাদের নামে! আপাতত তাদের খোঁজে হন্যে হুগলি পুলিশ। দুই ভাইকে ধরতে এখন শহর জুড়ে পোস্টার সেঁটেছে পুলিশ। তাদের সম্পর্কে কেউ সন্ধান দিলেই মিলবে হাতেগরম ইনাম।
জেলার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “রবীন্দ্রনগর এলাকার এক দল সমাজবিরোধী এলাকা দখলের লড়াইয়ে অবাধে তাণ্ডব চালাচ্ছিল। তারক এবং টোটন বিশ্বাস দুষ্কৃতীদের পাণ্ডা। তারা পলাতক। তাই তাদের ধরতে পোস্টার সাঁটা হয়েছে। কেউ তাদের খবর দিলে তাঁকে পুরস্কৃত করা হবে। তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে।” |
|
জেলা পুলিশের তরফে চুঁচুড়ায় পোস্টার। ছবি: তাপস ঘোষ। |
বেশ কিছু দিন ধরেই রবীন্দ্রনগর এলাকায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছিল। অভিযোগ, টোটন এবং তারকের নেতৃত্বেই খুন-জখম, তোলাবাজি চলতে থাকে। তাদের দাপটে তটস্থ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। আতঙ্কে এলাকাবাসী অবশ্য টু-শব্দ করার সাহস পাননি। চুঁচুড়ার পাশাপাশি মগরা, পাণ্ডুয়া, বলাগড়ের বিভিন্ন জায়গাতেও তাদের ‘অপারেশন’ চলে। কিছু দিন আগে সকাল বেলায় রবীন্দ্রনগর বাজারে বোমাবাজি হয়। এলোপাথারি গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন এক রঙমিস্ত্রী। বোমায় আহত হন এক সেলুনকর্মী। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, ওই দিনও টোটন এবং তারকের নেতৃত্বেই দিনেদুপুরে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে তাণ্ডব চলে দুষ্কৃতীদের। অবশ্য ওই ঘটনার পর থেকেই অবশ্য দুই ভাই গা-ঢাকা দেয়।
তাদের কয়েক জন সাগরেদ ধরা পড়লেও পুলিশ দুই ভাইয়ের নাগাল পায়নি এখনও। বৃহস্পতিবার তারক এবং টোটনের ছবি দিয়ে পোস্টার লাগানো হয় বিভিন্ন জায়গায়। চুঁচুড়া, হুগলি ও ব্যান্ডেল স্টেশন চত্বরেও ওই পোস্টার সেঁটেছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|