|
|
|
|
ভোট না হলে গ্রামে কাজ হবে কী করে, প্রশ্ন মমতার |
নুরুল আবসার • উলুবেড়িয়া |
পঞ্চায়েত নির্বাচন অনিশ্চয়তার মেঘ এখনও কাটেনি। আজ, জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রথম থেকেই শাসক দল বলে আসছে, বিরোধীরাই ভোট চাইছেন না। তারাই বাধা দিচ্ছে। পক্ষান্তরে, বিরোধীরাও ভোট না হওয়ার জন্য শাসক দলকেই দুষছে।
বৃহস্পতিবারে উলুবেড়িয়ার তুলসীবেড়িয়ায় এক নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের ভোটের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, “পরশু দিন রাজ্যের সব পঞ্চায়েতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ওই দিন পর্যন্ত তারা কাজ করতে পারবে। পঞ্চায়েত ভোট না হলে গ্রামের কাজ হবে কী করে? আমরা চাইছি ভোট। ওরা চাইছে কোর্ট।’’ এ প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি মামলায় পার্টি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মামলার বিষয়ে আমি কিছু বলব না।” কংগ্রেসের সঙ্গে মতভেদ থাকলেও পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্র বাহিনী না পাঠানোকে সমর্থন করেছেন মমতা। তিনি বলেন, “লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে। পঞ্চায়েত ভোটে কেন থাকবে? ১৯৯৮, ২০০৩, ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে এ রাজ্যে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছিল? কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে আমাদের মতভেদ রয়েছে, কিন্তু বাহিনী না পাঠানোর বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি একমত।” |
|
উলুবেড়িয়ায় মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
মনোনয়ন দাখিল-পর্বে রাজ্যে সিপিএমই সন্ত্রাস করেছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এক লক্ষ ঊনসত্তর হাজার প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। কোথাও সন্ত্রাস নেই। বরং সিপিএমের হাতে আমাদের তিন জন খুন হয়েছেন।” এ দিন ফের তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে অভিযোগ তোলেন তিনি। ভুঁইফোড় আর্থিক সংস্থার প্রসঙ্গেও সিপিএমকে একহাত নেন মমতা। তাঁর দাবি, রাজ্যে ভুঁইফোঁড় আর্থিক সংস্থার উৎপত্তি ও বৃদ্ধি বাম সরকারের আমলে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৯ ও ২০১০— দু’বছরে বাংলায় ২৬টি ভুঁইফোড় আর্থিক সংস্থা তৈরি হয়েছে। একদা ‘পরিবর্তনপন্থী’ বিদ্বজ্জনদের প্রতিও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় উন্নয়নের নানা ফিরিস্তি দেন। সভা ঘিরে তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তৈরি করা নিরাপত্তা বলয়েও ঢুকে পড়ে মানুষ। |
|
|
|
|
|