পাম্পিং স্টেশনের নালায় নিকাশির কাজ করতে নেমে নিখোঁজ হলেন পুরসভার এক ঠিকাকর্মী। বৃহস্পতিবার দুপুরে বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশনে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, নিখোঁজ কর্মীর নাম রাজা দে (২২)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার আক্রার জগন্নাথনগরে। ঘটনার পর থেকেই ওই কর্মীকে খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। রাত পর্যন্ত তাঁকে পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের অধিকাংশ নালার জল বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশনের নালা দিয়ে বার হয়। ওই নালায় কাজের বরাত পেয়েছে পুরসভা নিযুক্ত এক এজেন্সি। ওই এজেন্সির দুই কর্মী এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ওখানে কাজ করছিলেন। পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানান, রাজা দে এ দিনই প্রথম ওই পাম্পিং স্টেশনে কাজ করতে এসেছিলেন। তিনি জানান, জমে থাকা জল দ্রুত বার করতে মাঝে মাঝেই কর্মীরা স্টিলের মই বেয়ে নালায় নামেন। জলে নেমেই তাঁরা পাম্পের গতি বাড়ানোর কাজ করেন। |
পুলিশ জানায়, এ দিনও এক ঠিকাকর্মী নালায় নেমে সেই কাজ করছিলেন। রাজা ছিলেন উপরে। এক সময়ে তিনিও নালায় নামতে যান। তখনই পা হড়কে গভীর জলের স্রোতে পড়ে যান। পুরসভার নিকাশি দফতরের এক অফিসার জানান, ওই নালার গভীরতা প্রায় ২০ ফুট। এর মধ্যে ১২ ফুটের উপরে জল। জলে রয়েছে স্রোত। রাজা পড়ে গিয়েছেন বুঝতে পেরে নীচে থাকা অন্য ঠিকাকর্মীরা চিৎকার করতে থাকেন। তাঁদের কাছ থেকেই বিষয়টি জানতে পারেন পাম্পিং স্টেশনের অন্য কর্মীরা।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল ও পুলিশ। হাজির হন কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসইডি) দেবব্রত দাস, পুরসভার নিকাশি বিভাগের ওএসডি অমিত রায় এবং স্থানীয় কাউন্সিলর সুশীল শর্মা। প্রথমে দমকলকর্মীরা দড়ি ও কাঁটা নিয়ে প্রায় ঘণ্টা দুই চেষ্টা করেন রাজাকে খোঁজার। কিন্তু খোঁজ মেলেনি। বেলা তিনটে নাগাদ পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলার দল যায়। তারাও প্রথমে দড়ি নামিয়ে খোঁজার চেষ্টা করে। লাভ হয়নি।
পুলিশ জানায়, নালায় জল বেশি থাকায় উদ্ধারের কাজে অসুবিধা হচ্ছে। তার পরেই ঠিক হয় পাম্পের সাহায্যে নালার জল কমানো হবে। কিন্তু দিনভর শহরে জলের ব্যবহার বেশি থাকায় তা যে সম্ভব নয়, তা-ও জানানো হয় পুলিশকে। পরে সিদ্ধান্ত হয় রাতে জলের ব্যবহার কমলে পাম্প চালানো হবে। পুরসভার এক পদস্থ অফিসার জানান, রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলার টিম। |