|
|
|
|
সোনার ন্যায্য বাজারদর না দেওয়ায় জরিমানা সংস্থার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
সোনা কিনে বাজারদর অনুযায়ী উপযুক্ত দাম না দেওয়ার দায়ে একটি গয়না ব্যবসায়ী সংস্থার শো-রুম কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করল হুগলি জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।
গত সোমবার নামকরা ওই গয়না সংস্থার চুঁচুড়া শাখার বিরুদ্ধে এই রায় দেন আদালতের প্রধান বিচারক নারায়ণচন্দ্র চক্রবর্তী।
ক্ষতিপূরণ হিসেবে অভিযোগকারিণীকে এক লক্ষ ১৬ হাজার টাকা, মানসিক যন্ত্রণা এবং হয়রানির জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং মামলা চালানোর খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে হুগলি ক্রেতা সুরক্ষা উন্নয়ন তহবিলে এক লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ২ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা এক মাসের মধ্যে না দিলে ৯ শতাংশ হারে সুদসমেত টাকা দিতে হবে, সংস্থার শাখা ম্যানেজারকে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদি সপ্তগ্রামের অ্যাডকোনগরের বাসিন্দা কৃষ্ণা অধিকারী অভিযোগ করেন, গত বছর ২৩ এপ্রিল তিনি পুত্রবধূ ঐশিকিদেবীকে নিয়ে চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ডে ওই গয়নার শো-রুমে যান। সেখান থেকে তিনি ২২ ক্যারেটের কিছু সোনা কেনেন। তৎকালীন বাজার দর অনুযায়ী তার দাম ২৮৫১ টাকা দেন তিনি। এর সঙ্গে কৃষ্ণাদেবী কিছু পুরনো সোনা ওই শো-রুমে বিক্রিও করেন। সেই সোনাও ২২ ক্যারেটের। দু’টি রসিদে দেখা গিয়েছে, কৃষ্ণাদেবীর থেকে ৬৮.৯৯০ গ্রাম এবং ১২.৯২০ গ্রাম সোনা কেনে ওই শো-রুম। ৬৮.৯৯০ গ্রাম সোনার ক্ষেত্রে গ্রাম প্রতি ১৫০৪.২৮ টাকা এবং ১২.৯২০ গ্রাম সোনার ক্ষেত্রে গ্রাম প্রতি ১৭৬৮.০৩ টাকা দেওয়া হয়, যা তখনকার বাজারমূল্য থেকে অনেক কম।
তখনকার মতো বাড়ি ফিরে গেলেও পর দিন ছেলেকে নিয়ে মহিলা ফের ওই শো-রুমে যান। বিক্রিত সোনার যথাযথ মূল্য দাবি করেন তাঁরা। অভিযোগ, শো-রুম কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথায় কান দেননি। উল্টে, দুর্ব্যবহার করে শো-রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন কৃষ্ণাদেবী। তাঁর আইনজীবী তপন গায়েন বলেন, “শো-রুম কর্তৃপক্ষ যে দামে সোনা বিক্রি করলেন, একই জাতের সোনা কিনলেন কম টাকায়। যা অনুচিত।”
শোরুম কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানান, কৃষ্ণাদেবীদের সোনায় অন্য ধাতু মেশানো ছিল। সোনা পরীক্ষা করেই হিসেব অনুযায়ী কৃষ্ণাদেবীকে টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি সেই মর্মে নথিতে সই-ও করেছেন তিনি। আদালত অবশ্য জানায়, কোন পরীক্ষায় সোনা আর খাদের হিসেব করা হয়েছে অথবা সোনার সঙ্গে কী পরিমানে অন্য ধাতু মিশে ছিল সেই সংক্রান্ত কোনও কাগজ শোরুম কর্তৃপক্ষ আদালতে জমা দিতে পারেনি। তাই আদালত মনে করে, অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে তারা। |
|
|
|
|
|