এমনিতেই যানজট লেগে থাকে ডিভিসি ব্যারাজে। তার উপর সাম্প্রতিক বর্ষার জেরে ব্যারাজে ওঠার মুখে দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রোডের বেশ কিছুটা রাস্তা কার্যত চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। অবিলম্বে রাস্তার ওই অংশ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। পুরসভার ৪ নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান শেফালি চট্টোপাধ্যায় জানান, এলাকার বেহাল রাস্তাগুলি সংস্কারের দাবি জানিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন নিগম (এডিডিএ) এর কাছে দরবার করেছেন। |
ব্যারাজের উপর দিয়ে যাওয়া এই রাস্তাটি শুধু এই দুই জেলা নয়, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গেরও অন্যতম প্রধান সংযোগকারী রাস্তা এটি। গত কয়েক বছরে গাড়ি, বাসের সংখ্যা বেড়েছে হু হু করে। দামোদরের দুই পাড়ে বড়জোড়া ও দুর্গাপুরে বহু কারখানা গড়ে উঠেছে। সেই কারখানায় ওই মাল আনা-নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত ভারি লরি চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। বর্তমানে বড়জোড়ায় কয়লা খনি খোঁড়ার কাজ চলছে। সে কাজে ব্যবহৃত যানবাহনও এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে। ফলে রাস্তাটির উপর চাপ বেড়েছে বহুগুণ। নিত্যযাত্রীরা জানিয়েছেন, সেতুতে ওঠার মুখে ‘টোল ট্যাক্স’ নেওয়া হয়। তাই গাড়ির লাইনের ধাক্কায় যানজট লেগেই থাকে। তার মধ্যে বেশ কিছু দিন হল রাস্তার অনেকটা অংশে পিচ উঠে গিয়েছে। খানাখন্দে ভরে গিয়েছে রাস্তা। আপত্কালীন ব্যবস্থা হিসেবে বোল্ডার দিয়ে খাল ভরাট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। গাড়ির চাপে তাও সরে গিয়েছে। তার উপর দিয়েই শত শত যানবাহন চলাচল করছে। ফলে বেশ কিছুটা অংশ চলাচলের অযোগ্য।
যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা লেগেই আছে বলে জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। দুর্গাপুর থেকে গাড়িতে প্রতিদিন বাঁকুড়া যাতায়াত করেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী সোমেশ্বর বসাক। তিনি বলেন, “ব্যারাজে ওঠার মুখে রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে। ওঠার মুখেই রাস্তা খারাপ থাকায় গাড়ির অতিরিক্ত চাপও সইতে হচ্ছে ব্যারাজকে।” ডিপিএল কলোনি এলাকার বাসিন্দা বিল্বেশ্বর বাউড়ির ক্ষোভ, “রাস্তার ওই অংশটুকু এড়ানোর জন্য অনেকে গ্যামন ব্রিজ থেকে ডিপিএল কলোনির ভিতর দিয়ে গিয়ে দামোদরের পাড় বরাবর রাস্তা ধরে গিয়ে ব্যারাজে ওঠার চেষ্টা করছেন। ফলে আমাদের কলোনির ভিতরের রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বেশ বেড়ে গিয়েছে। তাতে এই রাস্তাও বেহাল হয়ে পড়ছে।” তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এডিডিএ’র চেয়ারম্যান আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।” |