নানা ধরনের সরকারি সম্পত্তি বা বন্ধ কারখানার সম্পত্তি আদালতে নিলাম হয়। এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি রাস্তা চওড়া করার জন্য কেটে ফেলা ২৯৫টি শালগাছের নিলাম হবে কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিচারপতি জানিয়ে দেন, ওই নিলামের ডাক শুরুই করা হবে ৫৬ লক্ষ টাকা থেকে।
রাজ্য সরকার ২৩ লক্ষ টাকার দরপত্র দেওয়া একটি সংস্থাকে ২৯৫টি শালগাছ বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সরকারই সেই দরপত্র খারিজ করে দেয়। তার পরে ওই সংস্থার পক্ষে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলাতেই বিচারপতি রায় দিয়েছেন, নিলাম হবে আদালতেই।
ডেবরা-সবং রোড সম্প্রসারণ করার জন্য ২৯৫টি শালগাছ কাটার প্রয়োজন দেখা দেয়। রাজ্যের বন দফতরের অনুমতি নিয়ে পূর্ত দফতর গাছগুলি কাটে। সরকার গাছগুলি বিক্রি করার জন্য দরপত্র ডাকে। সর্বোচ্চ দর ওঠে ২৩ লক্ষ টাকা। নজরুল ইসলামের সংস্থাকে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরে কিছু অভিযোগ ওঠায় সরকার সেই দরপত্র খরিজ করে।
এ দিন নজরুলের মামলার শুনানিতে সরকার পক্ষের আইনজীবী সুশোভন সেনগুপ্ত বলেন, যে-সব সরকারি কর্মী গাছগুলির মূল্য নির্ধারণ করেছিলেন, তাঁরা সরকারি পদ্ধতি মেনেই সেই কাজ করেছেন। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি হল, ওই দামে গাছগুলি বিক্রি করলে সরকারের বিরাট আর্থিক ক্ষতি হবে। সুশোভনবাবুর ইঙ্গিত, ওই দরপত্রের প্রক্রিয়ার মধ্যেই কিছু দুর্বলতা থেকে গিয়েছিল। তিনি বলেন, ওই সব গাছের জন্য অনেক বেশি টাকা দিতে চান, এমন দরদাতারা দরপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।
দেবব্রত সাহা রায় নামে এক দরদাতা আদালতে বলেন, তিনি ওই গাছগুলির জন্য ৫৬ লক্ষ টাকা দিতে রাজি। বিচারপতি ওই দরপত্রের প্রক্রিয়া খারিজের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে জানিয়ে দেন, নতুন ভাবে যে-সব দরপত্র জমা পড়েছে, বৃহস্পতিবার সেগুলো আদালতে জমা দিতে হবে। অন্য কেউ যদি দরপত্র দিতে চান, তিনি বা তাঁরাও আদালতে আসতে পারেন।
নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা কে, আদালতেই তা ঠিক হবে। আদালতে অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি বা বন্ধ কারখানা যে-ভাবে নিলাম হয়, গাছগুলির ক্ষেত্রেও তা-ই হবে। |
