দুই শিশুর ধাক্কাধাক্কি নিয়ে গোলমাল বেধে গেল তৃণমূল-সিপিএমে। শনিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে এমনই ঘটেছে। ইসলামপুরের সুজালি এলাকায় শনিবার রাতে দু’দলের মধ্যে হাতাহাতি, ইট ছোঁড়া থেকে শুরু করে পরস্পরকে লক্ষ করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে রাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসডিপিও সুবিমল পাল বলেছেন, “দুটি শিশু খেলতে গিয়ে মারাপিট করে, আর তার পর গোলমালে তাদের পরিবারের লোকেরাও জড়িয়ে পড়ে। সেই থেকে রাজনৈতিক বিবাদের সূত্রপাত। পাথর ছুড়ে মারপিটের খবর পাওয়া গেলেও বোমাবাজির খবর নেই।”
পুলিশ সূত্রে খবর, হামিদুল রহমান এবং মহম্মদ আকালুর বাড়ি পাশাপাশি। হামিদুল তৃণমূল ও আকালু সিপিএমের সমর্থক। শনিবার সন্ধ্যায় দুই পরিবারের শিশুর মধ্যে খেলতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কির থেকে দুই পরিবারের বচসার সূত্রপাত। সেই বচসা গড়িয়ে রাতে দুই পরিবারের মধ্যে গোলমাল, রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূলের দাবি, সিপিএম তাদের সমর্থকদের বাড়িতে লুঠ করে। সিপিএমও পাল্টা অভিযোগ করেছে। যে দুই পরিবার নিয়ে গোলমাল, তাঁরা অবশ্য শিশুদের বিষয়টি থেকে আড়াল করতে চেয়েছেন। হামিদুল রহমানের কথায়, “আমাদের দলের সমর্থকরা রাতে বাড়িতে আসে, তখন সিপিএম হামলা চালায়।” মহম্মদ আকালুর কথায়, “তৃণমূলই তো আক্রমণ চালায়। ও বিনা প্ররোচনায় এই হামলা হয়।”
শনিবার রাতের ওই ঘটনার পরে এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে রবিবার দুপুর পর্যন্ত থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি মেহেতাব চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “সিপিএম-এর সমর্থকেরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাস তৈরির জন্য এলাকায় বোমাবাজির পাশাপাশি লুঠ চালায়।” সিপিএমের ইসলামপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক স্বপন গুহ নিয়োগী বলেন, “তৃণমূলের সমর্থকেরা আমাদের সমর্থকের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েক জন সমর্থক আহত হন। তৃণমূল কংগ্রেস এই এলাকাতে দাদাগিরি কায়েম রাখার জন্য প্রায়ই গোলমাল পাকাচ্ছে।” |