অন্যকে কাজ করতে বলে গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরে বেরালে হবে না। নিবার্চনের আগে রবিবার পুরুলিয়ার কাশীপুরে দলের কর্মীদের এই নির্দেশ দিয়ে গেলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক বিমান বসু। তিনি বলেন, “শ্রম, সময় ও উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি নিজে প্রথমে বুথে কাজ করেছি। বুথ এজেন্ট, কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছি। এই ছোট ছোট কাজগুলি করার আকর্ষণ থাকে না। অন্যকে কাজ করতে বলে গায়ে বাতাস লাগিয়ে অনেকে চলে যান। তা করলে হবে না।” |
ছড়রার কর্মিসভা। —নিজস্ব চিত্র। |
এ বার জেলায় বামফ্রন্টের মধ্যে জোট হয়েছে বলে নেতৃত্ব দাবি করলেও বিমানবাবুর সভা ঘিরেও জোটের চোরা ফাটল দেখা গিয়েছে। বামফ্রন্টগত ভাবে সভার আয়োজন করা হলেও অধিকাংশ শরিক দলের নেতৃত্বকে মঞ্চে দেখা যায় নি। বিমানবাবুর উপস্থিতিতে শরিক দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে কেউ উপস্থিত থাকলে মঞ্চে ওঠার জন্য মাইকে ডাকাও হয়। ফরওয়ার্ড ব্লকের কাশীপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল মাহাতো বলেন, “আমাদের এই সভার খবর আগে জানানো হয়নি। তাই মঞ্চে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”
|
দু’টি পৃথক দুই জেলায় বাজ পড়ে এক সরকারি কর্মী-সহ চারজনের মৃত্যু হল। শনিবার বিকেলে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে মানবাজার থানার ধানাড়া গ্রামে। প্রায় একই সময়ে অপর ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার নাগাতেঁতুলায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায় (৫৫), ভাস্কর পরামানিক (৩২), সন্তোষ মাঝি (৫২) এবং বিকাশ রায় (৩২)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ধানাড়ার বাসিন্দা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মী অর্ধেন্দুবাবু বরাবাজারের সিন্দরি গ্রামে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সময়ে তিনি বাড়ির সামনে একটি গাছতলায় ক্ষৌরকর্ম করছিলেন। সঙ্গে ছিলেন লাগোয়া নুনানি গ্রামের পেশায় ক্ষৌরকার ভাস্করবাবু। এ সময় বাজ পড়লে দু’জনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, ইন্দাসে দ্বারকেশ্বর নদ থেকে বালি তুলে ট্রাক্টরে মজুত করার সময়ে বাজ পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই শ্রমিক সন্তোষ মাঝি ও বিকাশ রায়ের। প্রথম জনের বাড়ি ইন্দাসের ছত্রখণ্ড গ্রামে, দ্বিতীয় জন দীঘলগ্রামের বাসিন্দা। |