এক মহিলাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক জেলা পরিষদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সোনামুখীতে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
রবিবার রাতে সোনামুখী থানায় তৃণমূলের অন্যতম জেলা নেতা ব্রজ অধিকারীর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, গত ১৭ জুন রাতে সোনামুখী থানার ধানসিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলডাঙা ঘটনাটি ঘটেছিল। বছর তিরিশের ওই মহিলার দাবি, “ওই দিন ভাইপোর মোটরবাইকে সোনামুখী থেকে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলাম। ব্রজবাবু ও তাঁর এক সঙ্গী মোটরবাইকে আমাদের পিছু নেন। তিলডাঙা গ্রামের কাছে আমাকে ধরে ফেলে ওরা মোটরবাইক থেকে নামিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানির করে। হাতের কাছে একটি ইট পাওয়ায় মাথায় মারতেই তিনি ও তাঁর সঙ্গী ছুটে পালান।”
অভিযোগ জানাতে দেরি করলেন কেন? ওই মহিলার দাবি, “পরের দিনেই আমি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করিয়ে এসেছি। ঘটনার পর থেকে আমাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। তাই থানায় অভিযোগ জানাতে দেরি হল।” পুরো ঘটনাটি তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন ব্রজবাবু। তাঁর অভিযোগ, “সোনামুখীর বাসিন্দা তথা দলের জেলা যুব সভাপতি সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় আমার প্রতীক আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। দল আমাকে প্রতীক দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এক গোঁজ প্রার্থীকে তিনি দাঁড় করিয়ে দেন। এরপরেও আমার ওই মহিলাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সুরজিৎবাবুই মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন।” ব্রজবাবু সে দিনের মতোই রবিবারও দাবি করেন, “ওই রাতে ধানসিমলার ভৈরবপুর মোড়ে অচেনা কিছু লোক আমার মোটরবাইক থামিয়ে মারধর করে। ওদের হাত ছাড়িয়ে লুকিয়ে মোবাইলে থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। এখন মনে হচ্ছে সুরজিতের লোকজনই হামলা চালিয়েছিল।”
সুরজিৎবাবুর পাল্টা দাবি, “জেলায় দলের যুব সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে থেকেও দল বিরোধী এ রকম কাজ করতে যাব কেন? ব্রজবাবুর ধারণা ভুল।” তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার কার্যকরী সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী ব্রজবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, “ভোটের মুখে প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ আমরা মেনে নেব না। দলনেত্রী গোষ্ঠী কলহ থাকলে তা মিটিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনাটি বিশদে খোঁজ নিচ্ছি। পুলিশ জানিয়েছে, “অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।” |