স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠল সাঁইথিয়া আরপিএফের বিরুদ্ধে। শনিবার গভীর রাতে সাঁইথিয়ার বাতাসপুর স্টেশনের ঘটনা। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বাসিন্দাদের একাংশ সাঁইথিয়া-বোলপুর রাস্তা ঘণ্টাখানেক অবরোধ করেন। পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। বাতাসপুরের পরিহারপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ সবুরের বাতাসপুর স্টেশনের কাছে একটি কাঠের গোলা আছে। তাঁর অভিযোগ, “শনিবার গভীর রাতে আরপিএফ-এর কয়েকজন জওয়ান কয়লা-সহ নানা চোরাকারবারের সঙ্গে আমি যুক্ত বলে দাবি করে বেধড়ক মারধর করে।” যদিও সাঁইথিয়া আরপিএফের পাল্টা দাবি, রাতে স্টেশনের কাছে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ওই ব্যক্তিকে আরপিএফের জওয়ানেরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শেখ সবুর তখন তাঁদের গালিগালাজ করে ছুটে পালাবার চেষ্টা করেন। তাঁকে তাড়া করে ধরার সময় শুধু মাত্র ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছিল বলে আরপিএফের দাবি।
অন্য দিকে, দশ চাকা লরির ধাক্কায় এক বধূর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হল ময়ূরেশ্বরে। মৃতার নাম তৃষ্ণা দুবে (২০)। বাড়ি ময়ূরেশ্বরের ফতেপুরে। পুলিশ লরি চালককে গ্রেফতার করেছে। শনিবার সকালে ওই বধূ রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ফতেপুর থেকে সাইকেল চালিয়ে বাহিনা মোড়ের দিকে আসছিলেন। পথে রামপুরহাটগামী ওই লরি বধূকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। তৃষ্ণাদেবী ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ধাওয়া করে রামপুরহাটের মনসুবা মোড়ে ওই লরিটিকে ধরে ফেলে। তাঁরা লরির চালককে পেটান। রামপুরহাট থানার পুলিশ এসে চালককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ধরে নিয়ে যায় চালককে মারধরে জড়িতদেরও। তার পরেই বাসিন্দারা অবরোধ করেন। পরে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। |