চার দিন আগে খুন হয় নাবালিকা সুজাতা মণ্ডল। প্রমাণ লোপাট করতে রবিবার ভোরে মেয়েটির বাড়ি দুষ্কৃতীরা পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। নিউ ব্যারাকপুরের পূর্ব কোদালিয়ার ঘটনা।
বৃহস্পতিবার সুজাতা নামে ওই মেয়েটিকে গলায় ফাঁস ও লেপ কম্বল চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় পুলিশ বাপি ঘোষ নামে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, চুরি করতে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। সুজাতা দেখে ফেলায় তাকে খুন করে পালিয়ে যায় তারা। ওই সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। মা সুনীতাদেবী তাঁর ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন মেয়ে ওই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। |
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার পরে বাড়িটিতে পুলিশ পিকেট বসানো হয়। দুই কনস্টেবল পাহারায় ছিলেন। শুক্রবার বাড়ি থেকে আঙুলের ছাপ নিয়ে যান বিশেষজ্ঞরা। তদন্তের জন্য বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয়েছিল। রবিবার ভোরে কিছু মহিলা আচমকা এসে দুই কনস্টেবলকে ধাক্কা দিয়ে কেরোসিন তেল ছিটিয়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। বাঁশের বেড়া ও টালির চালের বাড়ি দমকল আসার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বেলঘরিয়ার এডিসি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেছেন, “প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, প্রমাণ লোপাটের জন্য এটা দুষ্কৃতীরা এটা করেছে। তবে প্রমাণ লোপাট হয়নি।” ঘটনার সঙ্গে ওই অভিযুক্তের দলবলের যোগসাজশ রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ দিন বাপির বাড়িতে স্থানীয় মানুষ চড়াও হয়ে ভাঙচুর করেন।
কিন্তু সুজাতার বাড়িতে পুলিশি প্রহরা থাকা সত্ত্বেও আগুন ধরানো হল কী ভাবে? পুলিশের বক্তব্য,ওই দুই কনস্টেবলের কাছে অস্ত্র বলতে ছিল লাঠি। আচমকা মেয়েরা এসে হাঙ্গামা করায় ওই দু’জন সরে যেতে বাধ্য হন। পুলিশ আসতে আসতেই আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। |