|
|
|
|
বর্ষায় ভোটের প্রস্তুতিতে প্রশাসনের ভরসা পলিথিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে কি না, হলে কবে, বাহিনী আসবে কোথা থেকে জানা নেই প্রশাসনের। তাই বলে হাত গুটিয়ে নেই তারা। ভোট হলে তা যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে হয়, তার জন্য জোরদার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ-প্রশাসন। আগামী ২রা জুলাই দক্ষিণবঙ্গের ন’টি জেলার সঙ্গে ভোট হবে পূর্বেও। ভরা বর্ষায় ভোট হচ্ছে ধরে নিয়েই বাড়তি কিছু তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অজয় পাল জানান, বর্ষায় ভোট হওয়ায় জলের হাত থেকে সুরক্ষার জন্য ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় আর পাঁচটা জিনিসের সঙ্গে যথেষ্ট প্লাস্টিক প্যাকেট রাখা হচ্ছে। আবশ্যিক ভাবে প্লাস্টিক প্যাকেটে মুড়ে ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়া হবে। ভোট গ্রহণের পর ভোট-বাক্সের সুরক্ষার জন্যও বড় পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়াও জেলার ২৫টি ব্লকেই ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে।
ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোট-কর্মীদের পৌছে দিতে যথেষ্ট গাড়ির ব্যবস্থাও করছে প্রশাসন। প্রায় সাড়ে তিনশো বড় বাস, ২৭৫টি সাধারণ বাস, ১৮৮টি মিনি বাস, ৬০০ ট্রেকার ও প্রায় দেড় হাজার ছোট গাড়ি ভাড়ায় নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রত্যন্ত এলাকার ভোট গ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে তাঁদের পৌঁছে দিতে ব্যবহৃত হবে গ্রামীণ রাস্তায় চলাচলের উপযোগী ছোট ছোট গাড়ি।
এ বার জেলায় মোট ভোটার প্রায় ৩০ লক্ষ ৭৫ হাজার। মোট ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৯৭৭। এর মধ্যে একটি জায়গায় কেবলমাত্র একটিই বুথ রয়েছে এমন ভোট-কেন্দ্রের সংখ্যা ২৭১৯। দুটি বুথ রয়েছে এমন ভোট-কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৯৬। তিনটি বুথ রয়েছে এমন ভোট-কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮। আর বুথের সংখ্যা তিনেরও বেশি এমন ভোট-কেন্দ্র রয়েছে তিনটি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট গ্রহণ কেন্দ্র হিসেবে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুল ছাড়াও এ বার শিশুশিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র নেওয়া হয়েছে। নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণের জন্য জেলায় মোট ২৩ হাজার ৭৬৭ জন ভোট-কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এ বার বুথ প্রতি ভোট-কর্মীর সংখ্যা চারজন থেকে বেড়ে হয়েছে পাঁচ জন। এর মধ্যে এক জন প্রিসাইডিং অফিসার, বাকি চার জন পোলিং অফিসার। প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রশিক্ষণের জন্য ডাক পেয়েও যে সব ভোট-কর্মী প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণে যোগ দেননি তাঁদের ইতিমধ্যেই শো কজ করা হয়েছে।
তবে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তার জন্য বাহিনী পাওয়া নিয়ে এখনও প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন অবশ্য বলেন, “সাধারণত ভোট গ্রহণের চার দিন আগে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী জেলায় পাঠানো হয়। নির্বিঘ্নে ভোট করার জন্য প্রয়োজনীয় বাহিনী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|