ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর গদি টালমাটাল হলেও নিজের রাজ্যের ক্রিকেট প্রশাসনে রীতিমতো ‘ক্লিন সুইপ’ করে স্বমহিমায় থেকে গেলেন এন শ্রীনিবাসন। কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই তিনি তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্টের আসনে বহাল রইলেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পদে এল তাঁর প্যানেলেও।
টানা ১২ বছর বা এক যুগ এই পদে রয়েছেন তিনি। তাঁর সবচেয়ে কাছের লোক কাশী বিশ্বনাথও সচিব পদে বহাল রয়েছেন। এই পদে তিনিও রয়েছেন সাত বছর ধরে। তাঁর বিরুদ্ধেও কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি রবিবারের বার্ষিক সাধারন সভায়। এ দিনের সভায় তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার পদাধিকারিদের বাছাইয়ে কোনও ভোটাভুটিই হল না। শ্রীনি তাঁর পছন্দের লোকেদের নিয়েই ফের তামিলনাড়ু ক্রিকেটে সাম্রাজ্য বিস্তার করবেন। ঘর গুছিয়ে নিয়ে এ বার তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের সাম্রাজ্য পূণর্দখলের খেলাতেও নামবেন। তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার পদে বহাল না থাকলে অবশ্য বেশ সমস্যায় পড়ে যেতেন শ্রীনিবাসন। তখন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশাসনে ফিরে আসাও কঠিন হয়ে যেত তাঁর পক্ষে।
তবে আইসিসি-র মহাবৈঠকে তিনি যাচ্ছেন কি না, এই নিয়ে ধোঁয়াশা অবশ্য এখনও কাটল না। জগমোহন ডালমিয়া লন্ডনে উড়ে যাওয়ার আগে বলে গিয়েছেন, “শ্রীনিবাসন লন্ডনে যাচ্ছে, এমন কোনও খবর আমার কাছে নেই।” অন্তর্বর্তী বোর্ড সভাপতির এই বক্তব্যকে উস্কে দিল রবিবারের একটি খবর। এ দিন শ্রীনিবাসন তাঁর রাজ্য সংস্থার পদাধিকারিদের জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে সংস্থার কার্যকর কমিটির সভায় তিনি থাকবেন। তা হলে তিনি লন্ডনে কবে যাবেন বা আদৌ যাবেন কি না, তা নিয়ে বেশ ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। |