অল ইংল্যান্ড ক্লাবের পান্না-সবুজ ঘাসে রূপকথার জন্ম দেবেন তিনি, আশায় বসে টেনিস রোম্যান্টিক। উইম্বলডনের প্রথম বল পড়ার চব্বিশ ঘণ্টা আগে জল্পনাও সব থেকে বেশি ডানা মেলছে তাঁর রেকর্ড অষ্টম খেতাব জেতার সম্ভাবনা নিয়ে।
তিনি, রজার ফেডেরার অবশ্য ফেভারিটদের তালিকায় এক নম্বরে নিজেকে নয়, রাখছেন গত বছর যাঁকে ফাইনালে হারিয়েছিলেন, সেই অ্যান্ডি মারেকে। বলেছেন, “আগের তুলনায় অ্যান্ডি এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। অলিম্পিক আর যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জেতার পর বড় টুর্নামেন্ট জেতার ব্যাপারে বেশি আত্মবিশ্বাসীও।”
ফেডেরারের মতে, ঘাসের কোর্টে বিগ ফোর-এর মধ্যে মারেই হবেন সব থেকে বিপজ্জনক। গত বছর স্বদেশের গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে উঠে হারার পর এ বার জিততে মরিয়াও থাকবেন ব্রিটিশ তারকা। জন ম্যাকেনরো আগেই বাজি ধরেছেন মারের উপর। আর ফেডেরার আজ বলেছেন, “গত বছর উইম্বলডন ফাইনালের আগেও আমার মনে হয়েছিল, মারে চ্যাম্পিয়ন হবে। ওর ফিজিক্যাল ফিটনেস দুর্দান্ত। সব থেকে বড় কথা সব ধরনের সারফেসেই সমান স্বচ্ছন্দ।”
নিজের রেকর্ড গড়া সম্পর্কে অবশ্য সতর্ক ঘাসের রাজা। বলেছেন, “যদি শেষ পর্যন্ত জিততে পারি, তবেই এ সব রেকর্ড-টেকর্ড নিয়ে কথা বলা যাবে। এটুকু বলব, চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য আমি তৈরি।” |
নকল-নবিশ। ফের শারাপোভাকে নকল করেছেন জকোভিচ।
যা নিয়ে দুই বন্ধুর টুইট-যুদ্ধ গড়াল সাংবাদিক বৈঠক পর্যন্ত। |
কোর্টের লড়াই নিয়ে এই আলোচনার পাশে জোর চর্চা আর একটা লড়াই নিয়েও। টুইটারে নোভাক জকোভিচ বনাম মারিয়া শারাপোভা খুনসুটি-যুদ্ধ!
বৃহস্পতিবার এক প্রদর্শনী ম্যাচে গ্রিগর দিমিত্রভের বিরুদ্ধে খেলেন জকোভিচ। দিমিত্রভ যিনি শারাপোভার বয়ফ্রেন্ডও। ম্যাচে দুই খেলোয়াড়ই রুশ গ্ল্যামার রানিকে এমন জমিয়ে নকল করেন যে দর্শকরা হেসে কুটিপাটি। পর টুইটারে জকোভিচ লেখেন, “দিমিত্রভের সঙ্গে ম্যাচটা দারুণ জমেছিল,” সঙ্গে দুষ্টু স্মাইলি। শারাপোভা ছাড়ার পাত্রী নন। তাঁকে নকল করার ভিডিও লিঙ্ক তুলে দিয়ে লেখেন, “এই দু’টো ক্লাউনকে দেখুন!” জবাব আসে জকোভিচের, “গ্রিগরি, মনে হচ্ছে সবাইকে আমরা খুশি করতে পারবো না!”
টুইটার যুদ্ধ চলছিলই। গতকাল শারাপোভার সরকারি সাংবাদিক বৈঠকেও হাজির হয়ে যান জোকার। শারাপোভা তখন প্রথম উইম্বলডন জয় আর ইংল্যান্ডের বৃষ্টিতেও কেন তাঁর খেলতে ভাল লাগে বলতে বলতে আঙুলে পেঁচিয়ে ধরেছিলেন এক গাছি চুল। সাংবাদিকদের ভিড় থেকে জকোভিচ বলে ওঠেন, “সুন্দর চুল মারিয়া। বিউটিফুল হেয়ার টুডে।” প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েও সামলে নেন সুন্দরী। কপট বকুনি দেন, “অ্যাই শোনো, তুমি যে ভঙ্গীগুলো নকল করেছ, ওগুলো আজকাল আমি আর করি না। সার্ভের আগে কোমর বেঁকাই না। বার বার চুলও ঠিক করি না। মনে হচ্ছে আজকাল আমার খেলা দেখছ না!” জকোভিচ প্রতিবাদ করেন, “মোটেই না, আমি তোমার খেলা দেখি।” শারাপোভার উইনার আসে, “তা হলে নকলের রুটিনটা ঘষেমেজে নাও। ইউ নিড টু ডু অ্যা নিউ মি।” পরে শারাপোভা বলেন, “নোভাককে বহুদিন চিনি। দু’জনে এক সঙ্গে অনেক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। দারুণ বন্ধু।” তার পরে হেসে বলেন, “খালি নকল করতে গিয়ে একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলে!” শোধ তুলতে তিনি নিজে কি জকোভিচকে নকল করবেন? মারিয়া প্রায় আঁতকে উঠে বলেছেন, “না না! আমি এ সব পারি না। আমি তো কখনও বলিনি অভিনেত্রী হওয়ার শখ আছে!” |