ব্রাজিলের হাতেই কনফেড কাপ দেখতে পাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন ব্রাজিলীয় কোচ মার্কোস ফালোপা।
শনিবার ইতালির বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ই নেইমারদের ঘিরে প্রত্যাশা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন ফালোপা। লাল-হলুদের নবনির্বাচিত কোচ রবিবার রাতে সাও পাওলো থেকে ফোনে বলে দিলেন, “ইতালি ম্যাচে ব্রাজিল যে দাপট দেখিয়েছে তার পর আশা করছি কাপটা আমার দেশই পাবে।”
নেইমারদের খেলায় মুগ্ধ চিডি-মেহতাব-মোগাদের কোচ এর পর যোগ করেন, “টুর্নামেন্টে যত সময় গড়াচ্ছে ততই ব্রাজিলের খেলার উন্নতি হচ্ছে। দলের মধ্যে একতা বাড়ছে। আসলে এই ব্রাজিল টিমেও অনেক বড় ফুটবলার আছে। কিন্তু এত দিন সবাইকে একসুতোয় বাঁধা সহজ হয়নি। স্কোলারি চিফ কোচের দায়িত্ব নিয়ে সেই কঠিন কাজটা করেছেন। টেকটিক্যালিও এই মুহূর্তে বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে ব্রাজিল দল।”
ফাইনালে যদি নেইমাররা বিশ্ব ও ইউরোপ সেরা স্পেনের সামনেও পড়েন, সেক্ষেত্রেও ব্রাজিলকে ফেভারিট ভাবছেন ফালোপা। “ব্রাজিল কনফেড কাপে যেন একটা বিধ্বংসী মেজাজে রয়েছে। নেইমার গোলের মধ্যে রয়েছে। ফ্রেড, অস্কার, আলভেজ-রাও চমৎকার খেলছে। সব মিলিয়ে আমার হটফেভারিট ব্রাজিলই।”
কনফেড কাপে টানা তিন ম্যাচে নেইমারের দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর নতুন ব্রাজিলীয় তারকার সঙ্গে তাঁর নতুন ক্লাব বার্সেলোনার মহাতারকা-সতীর্থ লিও মেসির তুলনা শুরু করে দিয়েছে ফুটবল মহল। শহরের এক নতুন ব্রাজিলীয় কোচ কিন্তু সেই স্রোতে গা ভাসাতে রাজি নন। ফালোপা বলছিলেন, “নেইমার প্রতি দিনই উন্নতি করছে। ওর বলের ওপর দখল খুব ভাল। ছোট-ছোট নিখুঁত পাস খেলে। স্কিল ভাল। তবু বলব, এখনই মেসির সঙ্গে নেইমারের তুলনা টানার সময় আসেনি। মেসি একটা উচ্চতায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে। ওর জাতই আলাদা। সেখানে নেইমার সবে নিজেকে বিশ্বমানের তৈরি করছে। আমি তো ব্রাজিলে পরের বছর বিশ্বকাপেও মেসিকেই এগিয়ে রাখব।” |
গোলের উচ্ছ্বাস। শনিবার সালভাদোরে নেইমার। ছবি: এএফপি |
নেইমারকে কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়নি ফালোপার। তবে নেইমারের বাবা সিনিয়র নেইমারকে কাছ থেকে দেখেছেন। “নেইমারের বাবাও ভাল ফুটবলার ছিল। তার খেলা আমি দেখেছি। বেশ ভাল স্কিল ছিল। ছেলেও বাবার গুণটাই পেয়েছে,” দাবি নতুন ইস্টবেঙ্গল কোচের। ফালোপার মতো গোটা ব্রাজিলই কনফেড কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। আর্থিক অরাজকতায় বিধ্বস্ত দেশেও ফুটবল উন্মাদনা কী রকম জানাতে গিয়ে ফালোপা ফোনে বললেন, “নেইমাররা ইতালিকেও হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছনোর পর উন্মাদনায় ভাসছে গোটা ব্রাজিল। ছোটখাটো কার্নিভ্যাল হচ্ছে। তবে আমরা অপেক্ষায় আছি বড় কার্নিভ্যালের।” |