ধ্বংসের ঘেরাটোপে অক্ষত গর্ভগৃহ
প্রকৃতির মার না ঈশ্বরের মার! না কি প্রকৃতিই ঈশ্বর! দীর্ঘদিন ধরে প্রকৃতির উপর খোদকারি করা মানবজাতির ঔদ্ধত্যে অতিষ্ঠ হয়েই কি শোধ নিল প্রকৃতি? এ রকমই নানা প্রশ্ন জাগিয়ে তুলছে সম্প্রতি ভয়াবহতম দুর্যোগের সাক্ষী থাকা কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহ আর অক্ষত শিবলিঙ্গ।
এক সপ্তাহের তাণ্ডবলীলার পর মৃত্যুপুরীর মধ্যে জেগে রয়েছে শুধু কেদারনাথ মন্দিরের উপরের অংশ। কিন্তু তা-ও ধ্বংসস্তূপের প্রায় দশ ফুট গভীর পর্যন্ত ডুবে যাওয়া অবস্থায়। মন্দিরের এক তলায় আরতির চাতালে ইতস্তত ছড়িয়ে দলা পাকানো মৃতদেহ। তারও তলায় মন্দিরের গর্ভগৃহ, যেখানে ছিল শিবলিঙ্গ ও অন্যান্য কিছু দেব-দেবীর মূর্তি আর মন্দিরের ঘণ্টাটি। কাদা-মাটি-পাথর-মৃতদেহের ধ্বংসস্তূপের তলায় কিন্তু সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছে এই গর্ভগৃহটি। ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির আঁচ এখনও পৌঁছয়নি এই গর্ভগৃহের ভিতরে।
কেদারনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বাগেশ লিঙ্গ তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আস্ত পাহাড়টাকে এসে যেন মন্দিরে ধাক্কা মারল। জলের প্রচণ্ড তোড়...মন্দিরটা কাঁপছিল... হঠাৎই পশ্চিম দিকের একটা বন্ধ দরজা অলৌকিক ভাবে খুলে গেল আর সেটা দিয়ে জল বেরোতে শুরু করল। ...ধ্বংসস্তূপ আর জলের মধ্যেই কেটেছিল সেই রাতটা।” আটকে থাকা মানুষ ও মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে মন্দিরের প্রধান শিবলিঙ্গটিকেও। “চার দিকের ধ্বংসলীলা দেখে বুঝতে পারছিলাম, মন্দিরের ভিতরে নিরাপদ নয় প্রধান মূর্তিটি। তাই পরিস্থিতি একটু ভাল হতেই মূর্তিটি নীচে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই।” উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণা বলেছেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগে এত মানুষের মৃত্যু খুবই দুঃখের ব্যাপার। উত্তরাখণ্ডকে আবার তৈরি করতে অনেকটা সময় লাগবে।” আগামী দু’বছরের জন্য কেদারনাথ যাত্রা বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।

কেদারনাথে শেষকৃত্য
মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বান আচমকাই ডেকে এনেছিল মৃত্যু। এই সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের জেরে কেদারনাথে যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের শেষকৃত্য সেখানেই সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব। শেষকৃত্যের আগে প্রত্যেকটি দেহের ছবি তোলা হবে। সংগ্রহ করা হবে ডিএনএ নমুনাও।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.