ভারতের সঙ্গে যত শীঘ্র সম্ভব দ্বিপাক্ষিক লগ্নি চুক্তি চায় আমেরিকা। ভারত সফররত মার্কিন বাণিজ্য সচিব জন কেরি আজ এ কথা জানিয়ে বলেন, “লগ্নিকারীদের আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে এটা জরুরি।” আগামী কাল ভারত-মার্কিন চতুর্থ দফার বিশেষ বৈঠকের ঠিক আগের দিন তিনি এই দাবি তুলেছেন, কূটনীতিকদের মতে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের বিদেশমন্ত্রী
সলমন খুরশিদের সঙ্গে এই আলোচনা হওয়ার কথা।
এ বছরের গোড়ায় মার্কিন বিদেশ দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই কেরি-র প্রথম বিদেশ সফর। এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনধিদল নিয়ে আজ সন্ধ্যায় তিনি ভারতে পা রাখেন। মার্কিন পণ্য ও পরিষেবার জন্য ভারতের বাজার আরও বেশি করে খুলে দেওয়ার প্রসঙ্গও তিনি তুলেছেন। ভারতের বাণিজ্যনীতি যথেষ্ট উদার নয় বলে তিনি উদ্বেগ জানান। মেধা সম্পদের অধিকার নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি, অসামরিক ক্ষেত্রে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের জন্য ২০০৫ সালে সই হওয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ‘পূর্ণ রূপায়ণ’ চান কেরি। সে ক্ষেত্রে ওয়েস্টিংহাউস, জিই, হিতাচি-র মতো সংস্থা ভারতে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়তে আগ্রহী হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভারত-মার্কিন সহযোগিতার ক্ষেত্রে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার কথা বলেছেন বিদেশ সচিব।
এগুলি:
• আবহাওয়ার পরিবর্তন
• নিরাপত্তা ব্যবস্থা
• সভ্যতার সঙ্কট
আবহওয়ার পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে কেরি বলেন, “আবহাওয়া বিজ্ঞান দাবি করছে, এ ব্যাপারে আমরা কিছু একটা করি। এই দাবিকে স্বীকৃতি দিতেই হবে।”
কেরি জানান, সাম্প্রতিক কালে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫ গুণ বেড়েছে। ওবামা প্রশাসনের আমলেই তা ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক আর্থিক সহযোগিতার আরও অনেক সুযোগ রয়েছে। যর শর্ত হল ন্যায্য প্রতিযোগিতা, অবাধ বাণিজ্য এবং বিদেশি লগ্নির উপর ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করা। দ্বিপাক্ষিক আলোচনাতেও এগুলি বেশি করে জায়গা পাবে বলে তিনি মনে করছেন। |