মন্তেশ্বরে ডাকাতিতে ধৃত ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা • মন্তেশ্বর |
ডাকাতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে শনিবার মন্তেশ্বর থানার পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মোচা শেখ, সন্টু শেখ, কালো শেখ এবং মহিদুল শেখ। এর মধ্যে সন্টু শেখের ছেলে হল মহিদুল শেখ। এরা মন্তেশ্বরের গাংগুরিয়া এলাকার ডাকাতিতে যুক্ত ছিল বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের বাড়ি পূর্বস্থলীর ঘোলা এবং রাজিবপুরে। তাদের কাছ থেকে দু’টি পাইপগান, দু’রাউন্ড গুলি একটি ভোজালি-সহ ডাকাতির মালপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গাঙ্গুরিয়ার গদাই মণ্ডলের বাড়িতে ৩ জুন ডাকাতি হয়। নগদ টাকা, গয়না-সহ আরও জিনিসপত্র চুরি যায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতরা দু’টি মোবাইল এবং দু’জোড়া জামা-প্যান্ট ফেলে গিয়েছে। ওই মোবাইলের সূত্র ধরে বেশ কিছু তথ্য সামনে আসে। শনিবার সকালে পুলিশ জানতে পারে ভেলিয়া গ্রামে গয়না বিক্রি করার জন্য কয়েক জন জড়ো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে চার জনকে ধরা হয়। রবিবার কালনা আদালতে তাদের ৮ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠায়। এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, “ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।”
|
স্ত্রীকে অত্যাচার, ধৃত স্বামী-সহ ৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ভাতার ব্লক অফিসের এক কর্মীকে। এক মহিলার সঙ্গে তিনি আলাদা ভাড়া থাকছিলেন বলেও তাঁর স্ত্রী সোমা চৌধুরীর অভিযোগ। সেই মহিলা ও বাড়িওয়ালাকেও রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমাদেবী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ৯৬ সালে তাঁর বিয়ে হয় ইছলাবাদের বাসিন্দা দেবব্রত চৌধুরীর সঙ্গে। ১৬ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে তাঁদের। সম্প্রতি ওই মহিলার সঙ্গে বড়নীলপুরে ভাড়া থাকছিলেন তাঁর স্বামী। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতেন তিনি। প্রতিবাদ করায় দেবদ্রতবাব তাঁকে খুন করারও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি বড়নীলপুরে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে বাড়িওয়ালা অষ্টমবাবু তাঁকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁকেও ধরেছে।
|
|
পারিবারিক সূত্রে
পাওয়া মূর্তির ছবি |
মন্দিরের দরজা ভেঙে চুরি গেল প্রায় তিনশো বছরের পুরনো অষ্টধাতুর মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি । বর্ধমানের কেতুগ্রামে নিরোল গ্রামে গুপ্ত পরিবারের কামাখ্যা মন্দির থেকে খোয়া গিয়েছে দেবীর গয়না ও কষ্টি পাথরের শালগ্রাম শিলাও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাড়ে সাত ইঞ্চির এই মূর্তি এলাকায় কামাখ্যা দেবী নামে পরিচিত। রবিবার সকালে দেখা যায়, দরজার শিকল ভাঙা, দেবীমূর্তি নেই। পুলিশের অনুমান, পিছনের ঝোপে ভরা রাস্তা দিয়ে এসে দুষ্কৃতীরা গ্রিলের তালা ও মূল মন্দিরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। |
ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়। |
পরিবার সূত্রে জানা যায়, পূর্বপুরুষ রামরতন গুপ্ত ছিলেন অসমের কামাখ্যা মন্দিরের সন্ন্যাসী। গুরুর আদেশে তিনি সংসারে ফেরেন। মুর্শিদাবাদের তৎকালীন নবাবের কাছ থেকে নিরোলে জমি পেয়ে অসম থেকে আনা মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে এখন পাশাপাশি কামাখ্যা ও দুর্গা মন্দির রয়েছে। তবে মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি কামাখ্যা মন্দিরেই থাকে। পুলিশ জানায়, ৬০ বছর আগেও এক বার মূর্তিটি চুরি গিয়েছিল। পরে স্থানীয় পুকুর থেকে উদ্ধার হয়। বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) তরুণ হালদার বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই মূর্তি উদ্ধার হবে।” |