আন্দোলন সিটুর সঙ্গে, ক্ষুব্ধ তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য জুড়েই সিপিএম-তৃণমূলে বিবাদ চরমে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে আসানসোল রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থার ডিভিশনাল অফিসে শ্রমিক-কর্মীদের দাবি আদায়ে সিটুর সঙ্গে যৌথ ভাবে নেমেছিল আইএনটিটিইউসি। তাঁদের শ্রমিক নেতাদের এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী, তা দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
শনিবার দুপুরে আসানসোল রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থার ডিভিশনাল অফিসে একযোগে বিক্ষোভ দেখান সেখানকার সিটু এবং আইএনটিটিইউসি কর্মীরা। দুই সংগঠনেরই অভিযোগ, দফতরের প্রায় ৫০০ ঠিকা শ্রমিক রাজ্য সরকার নির্ধারিত নূন্যতম মজুরি পাচ্ছেন না। তাঁদের জন্য চিকিত্সা পরিষেবা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুয়িটির সুবিধা নেই। এমনকী সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই শ্রমিক-কর্মীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেন না বলেও অভিযোগ। আলাদা ভাবে দাবি জানিয়ে ফল না হওয়ায় যৌথ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দু’পক্ষের নেতারাই জানান। ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মিতেশ দাশগুপ্তের চেম্বারে গিয়ে তাঁকে ও অন্য অফিসারদের ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে নিজেদের দাবিগুলি জানান তাঁরা। ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার জানান, মঙ্গলবার দুই সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
এরই মধ্যে রবিবার তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) কার্যকরী সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, “আমরা এই ঘটনা ভাল চোখে নিইনি। আইএনটিটিইউসি-র বিদ্যুত্ কর্মী সংগঠনের মহকুমা সম্পাদক নির্মল চট্টোপাধ্যায়কে কারণ দর্শাতে বলা হবে।” তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে সিটুর সঙ্গে এই ধরনের যৌথ আন্দোলন না করার জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে জেলা কমিটি। নির্মলবাবুর যদিও বক্তব্য, “মতান্তর থাকতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দুই সংগঠনের দাবি এক। শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় আমরা এক হয়ে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি জানান, যৌথ আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা তিনি দলকে বোঝাবেন। সিটুর বিদ্যুত্ কর্মী সংগঠনের মহকুমা কমিটির সম্পাদক অনির্বান মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সবাইকেই এক মঞ্চে আহ্বান করেছি।”
|