ভোটের প্রচারে বাধার অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল ও কাঁকসা |
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে তৃণমূলের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বারাবনি ব্লকের সিপিএমের জেলা পরিষদের প্রার্থী ধনঞ্জয় মণ্ডল। বারাবনি থানায় এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ধনঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, শনিবার ইঁটাপাড়া পঞ্চায়েতের ইঁটাপাড়া গ্রামে প্রচারে যাওয়ার সময় পঁচিশ জনের একটি দল তাঁর পথ আটকায়। তাদের অনেকের হাতেই লাঠি, লোহার রড ছিল বলে তাঁর দাবি। ধনঞ্জয়বাবু বলেন, “ওরা আমাকে প্রচারে না গিয়ে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কারণ জানতে চাইলে জানায়, হাইকমান্ডের নির্দেশ আছে যেন কোনও সিপিএম প্রার্থী ভোট প্রচারে বাড়ি বাড়ি যেতে না পারে।” এরপরে ফিরে আসেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, দিন সাতেক আগেও বড়ডাঙা গ্রামে ভোটের প্রচারের সময় জনা দশেক তৃণমূল কর্মী তাঁকে বাধা দেন। শনিবার রাতে বারাবনি থানায় দায়ের করা অভিযোগে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন করেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ইঁটাপাড়া গ্রামে পুলিশের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রার্থীকে উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। তবে তৃণমূলের বারাবনি ব্লকের নেতা পাপ্পু উপাধ্যায়ের দাবি, ওই এলাকায় সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। শনিবারের ঘটনা তারই প্রকাশ। |
বার্নপুরে নিহত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক দিলীপ সরকারের পরিবারের সঙ্গে শনিবার রাতে
দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সেখানে শিল্পাঞ্চল জুড়ে
মাফিয়ারাজ চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। —নিজস্ব চিত্র। |
কাঁকসায় এক তৃণমূল প্রার্থীর দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। আমানিডাঙা আদিবাসী পাড়ার এই ঘটনায় যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক যুব সভাপতি পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রবিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসার পরে তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, “সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।” তবে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন কাঁকসা জোনাল সম্পাদক বীরেশ্বর মণ্ডল বলেন, “সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। যাঁরা দিয়েছেন তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছে। এমন কি প্রার্থী হওয়ার পরেও চাপ দিয়ে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে বাধ্য করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ হাস্যকর।” |