বক্তা নিজের কড়ে আঙুলের মতো চেনেন এজবাস্টন পিচ।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রবাদপ্রতিম অধিনায়ক।
বার্মিংহ্যাম শহরে গত পঁয়তাল্লিশ বছর
বসবাসকারী মুস্তাক মহম্মদ। শনিবার বিকেলে কথা বললেন আনন্দবাজারের সঙ্গে। |
...আমি জানি গোটা ক্রিকেটমহলের পূর্বাভাসের সঙ্গে আমারটা মিলছে না। সবাই বলছে ভারত জিতবে। আমি বলছি, ইংল্যান্ডের জেতার সম্ভাবনা বেশি। তার কারণ, এই সুইং সহায়ক পরিবেশের পক্ষে ইংল্যান্ড বোলিং আদর্শ। ইন্ডিয়ার কুমার ছেলেটাকে আমার খুব ভাল লাগছে। দারুণ সুইং করায়। কিন্তু ও একা অ্যান্ডারসন-ব্রডের সমকক্ষ নয়। অ্যান্ডারসনকে ইংল্যান্ড অবশ্যই ধবনের পিছনে লাগাবে। আমার কাছে ভারতের সেরা ব্যাটসম্যান অবশ্য ধবন নয়। বিরাট কোহলি। আমার মতে, আমাদের সময়কার ইন্ডিয়া টিমে কোহলি ঢুকতে পারত। এতটাই ট্যালেন্টেড মনে হয় আমার ওকে। এমনিতে এজবাস্টন পিচ আগের চেয়ে অনেক শুকিয়ে গেছে। স্পিনাররা আমাদের আমলের চেয়ে বেশি সাহায্য পায়। তা বলে হাওয়া যদি চলে আর আবহাওয়া মেঘলা থাকে, ইংল্যান্ডের সুবিধে। ঠিক যেমন ইন্ডিয়ার সুবিধে খটখটে থাকলে। ইংল্যান্ড সবুজ পিচ ইচ্ছেমতো ভারতকে দিতে পারবে না। এখানে তো আর উইকেট ইসিবি তৈরি করছে না। করছে আইসিসি। বড় রান তাড়া করাটাও ভারতের সমস্যা নয়। ইন্ডিয়াকে আমি দারুণ সব ‘চেজ’ করতে দেখেছি। দু’তরফে সম্ভাব্য গেম চেঞ্জার বাছতে বললে আমি ভারত থেকে বাছব কোহলি আর কুমার। ইংল্যান্ড থেকে অ্যান্ডারসন আর ব্রড। |
প্র্যাক্টিসে ধোনি-রায়না। ছবি: দেবাশিষ সেন |
আমি জানি টুর্নামেন্টে বাকি টিমগুলোকে ভারত ধরে ধরে হারিয়েছে। কিন্তু ইংল্যান্ডের মতো কঠিন বোলিং লাইন-আপের সামনে এ পর্যন্ত ওরা পড়েনি। আবহাওয়া ম্যাচে কী ফ্যাক্টর হয়, কারা টসে জেতে সেগুলোও ম্যাচ ঘোরাবে। তবে ফাইনালে যা-ই হোক, ধোনিকে দেখে আমি মুগ্ধ। আমার দেখা সর্বকালের সেরা ভারত অধিনায়ক ধোনি। আর আমি ইন্ডিয়ান টিমকে দেখছি পটৌডির সময় থেকে। দু’নম্বরে রাখব গাঙ্গুলিকে। সূক্ষ্ম তফাত হল, গাঙ্গুলি মাঠে আবেগপ্রবণ আর উত্তেজিত হয়ে পড়ত। ধোনি মাথাটা এত ঠান্ডা রাখে যেন গোটা পরিস্থিতি ওর নিয়ন্ত্রণে। এটা বড় লিডারের মারাত্মক গুণ... |