প্রায় ন’শোরও বেশি স্কুল শিক্ষক পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়ে নাম কাটানোয় জেলায় ভোটকর্মীর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পাশের জেলা উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ভোটকর্মী এনে ৬ জুলাই ভোট করানোর আর্জি রাজ্য নিবার্চন কমিশনারের কাছে জানাল মালদহ জেলা প্রশাসন। যদিও সে অনুমতি পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মালদহের জেলা শাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “ভোটে নাম কাটানোর জন্য বহু স্কুল শিক্ষক পঞ্চায়েত নিবার্চনে প্রার্থী। সেই সব স্কুল শিক্ষকদের নাম কাটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আর্জিতে এত বিপুল সংখ্যয় ভোটকর্মীর নাম কাটতে হয়েছে, তাতে জেলায় প্রায় তিন হাজারেরও বেশি ভোট কর্মী কমে গিয়েছে। এই বিপুল পরিমাণে কর্মীদের কোথা থেকে পাওয়া যাবে, পাশের জেলা থেকে আনা যাবে কিনা তা জানতে রাজ্যে নিবার্চন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।” কলেজের শিক্ষকদের ভোটকর্মী হিসাবে নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়ে জেলা শাসক বলেন, “জেলার সমস্ত রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন আর কোনও ভোটকর্মীদের নাম কাটানোর জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ না করেন।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় ১৫টি ব্লকে, ২২৮১টি বুথে, ১৪৪০০ ভোট কর্মীর প্রযোজন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষক, হাইস্কুলের শিক্ষক, ব্যাঙ্ক, কেন্দ্রীয় সরকারের অফিস বা সংস্থা থেকে চুক্তির ভিত্তিতে কর্মরত কর্মীদের ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। ৩ জুন থেকে তাঁদের নিয়োগপত্র পাঠাতে শুরু করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে নির্দল প্রার্থী পদে দাঁড়ানো স্কুল শিক্ষকদের নাম কাটানোর হিড়িক শুরু হতে জেলা প্রশাসনের কর্তারা বিপাকে পড়ে যায়। ৯০০ বেশি স্কুল শিক্ষক নির্দল প্রার্থী পদের মনোনয়ন দেখিয়ে ভোটের ডিউটি থেকে নাম কাটিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নির্দল প্রার্থী হয়ে নাম কাটানোর হিড়িক দেখে অতিরিক্ত জেলাশাসক নীলকমল বিশ্বাস বলেন, “ভোটের ডিউটি থেকে রেহাই পেতে জেলার যে শিক্ষকরা পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িযেছেন, সে শিক্ষকদের পঞ্চায়েতে তৃতীয় দফা নিবার্চনে পাশের জেলায় ডিউটিতে পাঠানোর ভাবনা চলছে। ইতিমধ্যে নাম কাটাতে আসা বেশ কিছু শিক্ষককে একথা জানানো হয়েছে।” |