“ক্লাব ও খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়ানো উচিত। তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” আইএমজি রিলায়েন্সের ফুটবলের আইপিএল নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যা নিয়ে এ সমাধান বাতলালেন হোসে রামিরেজ ব্যারেটো। শুক্রবার শিলিগুড়ি টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের ফুটবল অ্যাকাদেমির কোচ বাছতে এসেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ক্লাবগুলির সঙ্গে খেলোয়াড়দের পেমেন্ট নিয়ে সমস্যার জন্য দুপক্ষকেই সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি। আপাতত ভবানীপুর ক্লাবের খেলোয়াড়ের পাশাপাশি কোচের ভূমিকাও উপভোগ করছেন বলে জানান সবুজ তোতা। তাই আপাতত অন্য কোনও দলে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে তাঁর নেই।
ব্যারেটো বলেন,“আমার পিঠের মাংসপেশিতে টান রয়েছে, শারীরিক সক্ষমতাও আগের মত নেই। তাই এই মূহুর্তে অন্য কিছু ভাবছি না।”এদিকে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সঙ্গে তাঁর ব্রাজিল ফুটবল আকাডেমিয়ার গাঁটছড়া বাঁধা হয়েছে। তা চালু হবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই। তারই প্রথম পর্যায়ের পদক্ষেপ হিসাবে এদিন ৪ জন কোচ বেছে নেন ব্যারেটো। এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্রাজিল ফুটবল অ্যাকাডেমিয়ার সহকারী সাধারণ ব্যবস্থাপক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। |
হোসে র্যামিরেজ ব্যারেটো। —নিজস্ব চিত্র |
বড় ক্লাব ছাড়লেও বড় ক্লাবের খোঁজ এখনও আগের মতই রাখেন। ময়দানের কোন ক্লাব কেমন দল গড়ছে তাও তাঁর নখদর্পণে। ইস্টবেঙ্গল, তাঁর পুরোনো ক্লাব মোহনবাগানের পাশাপাশি মহমেডান ও ইউনাইটেড ক্লাবের দলও বেশ ভাল লেগেছে বলে জানালেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নতুন কোচ কার্লোস ফালোপাকে তিনি চেনেনই না বলে জানান। ব্যরেটোর বলেন,“ ব্রাজিলে হাজার হাজার লোক পেশাদার ফুটবল খেলে। তার মধ্যে সবাইকে চেনা সম্ভব নয়। তবে তিনি সফল হবেন এই শুভেচ্ছা রইল।” ব্যারেটো আশাবাদী তাঁর নতুন এই প্রকল্প নিয়েও। গোয়ার অ্যাকাডেমির পাশপাশি তাঁদের ড্রিম প্রোজেক্ট যে এটাও তাও জানাতে ভুললেন না। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বেটোও। মার্চ মাসেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে গিয়েছিলেন প্রকল্পের। এবার বাস্তবায়নের পালা। জানালেন ৬ থেক ১৬ বছর বয়সী ৫০ জন নিয়ে তাঁদের এই অ্যাকাডেমি প্রশিক্ষণ শুরু করবে। পরে ৪০০ জনকে ভর্তি করা হবে। তাঁতে একজন ব্রাজিলীয় কোচ থাকবেন। বাকিরা স্থানীয় বা কলকাতা থেকে আনা হবে। আপাতত ব্রাজিলীয় কোচ হিসেবে রডরিগেজ়ের নাম মাথায় রয়েছে। ১০০ জনের আবেদন জমা পড়েছে। ৫০ জন ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের পক্ষ থেকে অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, “দুটো মাঠকে নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হবে শিলিগুড়ির শালবাড়ি ক্যাম্পাসের মধ্যেই। মাঠ তৈরির কাজ চলছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তা সর্ম্পূণ হয়ে যাবে। |