বিশ্বজয়ী স্কোলারির সঙ্গে বিশ্বজয়ী পাহিরার থাকাটা ব্রাজিলের এই তরুণ দলে রাজযোটক। স্কোলারির অ্যাটাকিং স্টাইলের সঙ্গে পাহিরার অঙ্ক কষা ডিফেন্সিভ ট্যাকটিক্স ব্রাজিলকে ক্রমশ অপ্রতিরোধ্য করে তুলছে।
প্রান্দেলি ওই পর্যায়ের উঁচু কোচ নন। গত ইউরো কাপ থেকে ইতালির দায়িত্ব নিয়ে শুধু ফাইনালে স্পেনের কাছে হারা ছাড়া যতই আর একটাও ম্যাচ না হারুন, এখনও ওঁর টিম রূপান্তর পর্যায়ে রয়েছে।
|
গুস্তাভো সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে যে রাজত্বটা করছে, সেটা পির্লোও পারছে না। মাঝমাঠে প্লেয়ারের আনুপাতিক সংখ্যায় ব্রাজিল এগিয়ে বলে নেইমার বেশি বাঁ দিকে খেলার ঝুঁকি নিতে পারছে। ওর সেরা অস্ত্র ডান-প্রান্তিক ডজ তাতে আরও ধারালো হচ্ছে। সেখানে ইতালির বালোতেলিকে কতকটা বাধ্য হয়েই সেন্ট্রাল অ্যাটাকিং জোন ধরেই আক্রমণে যেতে হচ্ছে।
|
এগিয়ে: ব্রাজিলের ৪-২-৩-১ ফর্মেশন ৬০-৪০ |
ডেভিড লুইজ আগের ম্যাচে নাক ভাঙায় নক আউটে সুরক্ষা-মুখোশ পরেই হয়তো নামবে। কিন্তু এই ম্যাচে ব্রাজিল সেন্ট্রাল ডিফেন্সে দাতে খেলবে বোধহয়। সেক্ষেত্রে দানি আলভেজ-থিয়াগোদের তুলনায় আবাতে-বারজালি-চিয়েলিনিদের ক্লাস আর অভিজ্ঞতা সামান্য হলেও বেশি। যতই টুর্নামেন্টে ইতালি চার গোল খেয়ে থাক আর ব্রাজিল একটাও গোল হজম না করুক। বড় ম্যাচে অভিজ্ঞতার মূল্য সর্বদা বেশি।
|
ডি রোসি-র দু’টো হলুদ কার্ড দেখে না থাকাটা ইতালি কাছে বড় ধাক্কা। বল হোল্ড করে খেলার জন্য শুধু পির্লো থাকছে। তবু মন্টোলিভো-মারচিসিও-জিয়াচেরিনিরা বৈচিত্রে ব্রাজিলের হার্নানেস-হাল্ক-অস্কারের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে। স্কিলের ঝলক দিয়ে হয়তো ব্রাজিল সেটা মেটানোর চেষ্টা করবে।
|
বালোতেলির চেয়ে নেইমার অনেক বেশি কমপ্লিট অ্যাটাকার। নেইমারের সঙ্গে দু’পাশ থেকে হাল্ক, অস্কার, জো-র মধ্যে দু’জন সর্বদা অ্যাটাকে বাড়তি রসদ হয়ে উঠে রাজকীয় অ্যাটাক তৈরি করবে। সেখানে ইতালির আক্রমণ বড্ড বেশি বালোতেলি-নির্ভর। সেটাও সেন্ট্রাল অ্যাটাকিং জোনে সীমাবদ্ধ।
|
ব্রাজিল: নেইমারের তীব্র গতিতে মুহুর্মুহু বাঁ দিক-ডান দিক জায়গা বদল করে আক্রমণ।
ইতালি: পির্লোর ফ্রিকিক। বালোতেলির শ্যুটিং পাওয়ার।
|
সব মিলিয়ে পয়েন্ট
ব্রাজিল ৭/১০ ইতালি ৬/১০
সম্ভাব্য ফল: ১-১ বা ২-২ ড্র |
• ব্রাজিলকে শেষ বার ইতালি হারিয়েছে ৩১ বছর আগে। বিরাশি বিশ্বকাপে ৩-২।
• আজ ড্র হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে ব্রাজিল। সেক্ষেত্রে সেমিফাইনালে স্পেনকে এড়াতে ইতালির জেতা ছাড়া উপায় নেই। ব্রাজিল অবশ্য ঘরের মাঠে শেষ হেরেছে ১১ বছর আগে। ২০০২-এ প্যারাগুয়ের কাছে। |