ইংল্যান্ডে ভারতীয় বোলারদের পারফরম্যান্স দেখে শুধু খুশি নন, অবাকও ১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের বোলার বলবিন্দর সিংহ সাঁধু। “পরিবেশের সাহায্য নিয়ে ভারতীয় বোলাররা যা পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে, তা শুধু দারুন নয়, বেশ অপ্রত্যাশিতও”, শুক্রবার বললেন সাঁধু।
লর্ডসে ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ ফাইনালে ১৮৩ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে নামা ভারতের অন্যতম ধারালো অস্ত্র ছিল সাঁধুর ইন সুইঙ্গার। যে বলটাতে গর্ডন গ্রিনিজের স্টাম্প ছিটকে দিয়েছিলেন তিনি, সেই বলের ছবিটা এখনও ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে বেশ উজ্জ্বল। বিশ্বকাপজয়ী সেই সাঁধু এখন উমেশ, ইশান্তদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বলছেন, “উমেশের বোলিংয়ে গতি মারাত্মক। ওর হাতে খুব ভাল আউটসুইঙ্গারও আছে। কিন্তু ওকে আরও রিল্যাক্সড থাকতে হবে। তা হলেই উইকেট পাবে।” এই ভারতীয় দলের সেরা পেসার যে ভুবনেশ্বর কুমার, তা মেনে নিয়ে সাঁধু বলেন, “ছেলেটা দু’দিকেই সুইং করাতে পারে আর ওর বলের গতি ইংল্যান্ডের আবহাওয়া ও পরিবেশের পক্ষে আদর্শ।” তবে ইশান্ত সম্পর্কে এত উচ্ছ্বসিত নন তিনি। |
৫০ ওভারের ক্রিকেটের নতুন নিয়মে ইনিংসে দু’টি বল ব্যবহার করার প্রথা চালু হওয়ায় পেসারদের সুবিধা হয়েছে বলে মনে করেন সাঁধু। তাঁর বক্তব্য, “এর ফলে বল সহজে নরম বা নষ্ট হয় না। সিমও ঠিকঠাক থাকে বলে বোলারদের গ্রিপ করতে সুবিধা হয়।”
১৯৮৩-র বিশ্বকাপের সঙ্গে এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই সফরের তফাৎ সম্পর্কে সাঁধু বলেন, “সে বার আমাদের নিয়ে কারও তেমন প্রত্যাশা ছিল না। আমরা যেটা করেছিলাম, তা সবার কাছেই ছিল অপ্রত্যাশিত। তবে এ বার ধোনির টিম যে এতটা ভাল খেলবে, তা সত্যিই ভাবা যায়নি।” |