রবিবার আসছেন রাজনাথ
কোন্দল চরমে, অস্বস্তিতে বিহার বিজেপি নেতৃত্ব
বিবার পটনায় আসছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহ। নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পরে এটাই দলের সভাপতির প্রথম বিহার সফর। পটনার সঞ্জয় গাঁধী স্টেডিয়ামে তিনি পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত দলীয় নেতাদের উজ্জীবিত করতে বক্তৃতা দেবেন। কিন্তু তার থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে রাজনাথের জন্য। সেটা হল, বিহার বিজেপি-তে কোন্দল সামাল দেওয়া।
নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদ তো আছেই। কিন্তু, দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে আরও বেসামাল হয়ে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। দলের প্রবীণ অনেক নেতাই মনে করেন, এখনই একজোট হয়ে নামতে না পারলে নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে লোকসভায় দলের আসন বাড়ানোর ভাবনা ধাক্কা খাবে। নীতীশের মোকাবিলা করাও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
কিন্তু কী নিয়ে হঠাৎ এই অন্তর্দ্বন্দ্ব?
আস্থা ভোটের বিধানসভা অধিবেশনে পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে নন্দকিশোর যাদবকে বেছে নিয়েছিল বিজেপি। শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছিল, দলের অনগ্রসর শ্রেণির নেতা নন্দকিশোর যাদবই তাঁদের প্রথম পছন্দ। বিজেপি সূত্রে খবর, দিল্লির এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন দলের উচ্চবর্ণের একাংশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদীও। সুশীল মোদী-ঘনিষ্ঠ নেতা প্রেম কুমার জানান, নন্দকিশোরের আগে থেকে তিনি বিধায়ক। যোগ্যতাতেও তিনি এগিয়ে। আগে তাঁকেই নেতা বাছা উচিত ছিল।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যুক্তি, বিজেপি এমনিতেই বিহারে উচ্চবর্ণের ভোট পায়। তা ছাড়া, নন্দকিশোর যাদব হলেও পটনার ব্যবসায়ী মহলে পরিচিত। তাই উচ্চবর্ণের মধ্যেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। নন্দকিশোরকে নেতা হিসেবে তুলে এনে লালুপ্রসাদের যাদব ভোটব্যাঙ্কে ভাগ বসানোরও চেষ্টাও করতে চায় বিজেপি। মোদীকে নিয়ে বেশি উৎসাহ দেখাতেও নারাজ রাজ্যের কিছু নেতা। তাঁরা লালকৃষ্ণ আডবাণীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
তবে এই বিষয়গুলির চেয়েও রাজ্য বিজেপি ফাঁপরে পড়েছে বেশ কিছু বিধায়কের ইস্তফা দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে। বিজেপি সূত্রে খবর, ২০১০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে কয়েকটি আসনে নীতীশের পছন্দমতো প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি। তাঁদের অনেকেই বিধায়ক হয়েছেন। ওই বিধায়কদের মধ্যে বীণা দেবী, শশীভুষণ হাজারী, রামসুরত রায়, রানা গঙ্গেশ্বর সিংহ এবং মঞ্জু হাজারি অন্যতম। দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপির প্রতীকে বিধায়ক হলেও এঁরা আসলে জেডিইউয়েরই। তাঁরা এখন ইস্তফা দিয়ে নীতীশের দলে যোগ দিতে চান।
রাজ্য বিজেপি-র এক নেতার কথায়, “ওই পাঁচ জন ইস্তফা দিয়ে দিতেন। কোনও রকমে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে।” তবে জেডিইউ শিবিরের দাবি, ওঁরা নীতীশ কুমারের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাননি বলেই এখনও ইস্তফা দেননি। আরও কয়েক জন বিজেপি বিধায়ক নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর। তাঁরাও ইস্তফা দিতে পারেন।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.