|
|
|
|
এনডিএ প্রসারের প্রশ্নে এখনও অটল আডবাণী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
জোট প্রসারের পরোয়া না করেই নরেন্দ্র মোদী সঙ্ঘের সমর্থনে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছেন। কিন্তু, বিজেপি-র প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী এনডিএ-র বিস্তারের প্রশ্নে এখনও অটল।
গোয়াতে মোদীর উত্থান, তার পর লালকৃষ্ণ আডবাণীর ইস্তফা এবং পরে তা প্রত্যাহার। এই গোটা পর্বের পর আজই প্রথম কোনও সভায় প্রকাশ্যে এলেন আডবাণী। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বলিদান শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তিনি। পাশে বসা দলের সভাপতি রাজনাথ সিংহ ও বেঙ্কাইয়া নায়ডু আডবাণীকে কিছুটা শান্ত করারও চেষ্টা করেন। কিন্তু বক্তৃতা দেওয়ার সময় সুকৌশলে আডবাণী বুঝিয়ে দিলেন, কেন্দ্রে কংগ্রেস- বিরোধী সরকার গড়তে অন্য
অনেক দলের সমর্থন প্রয়োজন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কানপুর অধিবেশনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “তখনও কংগ্রেস-বিরোধী দলের সঙ্গে সখ্যের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। যা আজও প্রাসঙ্গিক।’’ |
|
বৈঠকে বিজেপি-র প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গে
দলের সভাপতি রাজনাথ সিংহ। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র |
গত কালই সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের কাছে নিজের এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন আডবাণী। ভাগবত তাঁর বিষয়গুলি নিয়ে আরও আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু, মোদীর ক্ষমতা খর্ব করে আডবাণীর হাতে রাশ তুলে দেওয়ার কথা বলেননি। সঙ্ঘ ও বিজেপি নেতৃত্ব এখন আডবাণীকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁকে খুশি রাখারই কৌশল নিয়েছেন। রাজনাথ ও বেঙ্কাইয়ার মতো নেতারা আজ আডবাণীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। আডবাণীই যে দলের সর্বোচ্চ নেতা, দলের অভিভাবক, পথদ্রষ্টা, সর্বোচ্চ তাত্ত্বিক নেতা- বারবার সে কথা বলে আডবাণীকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই নেতারা। বিজেপি-তে প্রবীণদের সম্মান দেওয়া হয় বলেও আডবাণীর অভিযোগকে স্তিমিত করতে চেয়েছেন বেঙ্কাইয়া। কিন্তু আকারে ইঙ্গিতে রাজনাথ এ কথাও বলতে ভোলেননি, সমাজের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা ও গুণ চাই। ইতিহাসকে নতুন দিশা দেখানোর জন্য কিছু দুর্লভ গুণের প্রয়োজন।
সভায় উপস্থিত নেতাদের মতে, এই ‘দুর্লভ’ গুণ বলতে রাজনাথ মোদীর কথাই বলতে চেয়েছেন। মোদী আজই উত্তরাখণ্ডে পৌঁছে গিয়েছেন। আগামিকাল তিনি উত্তরকাশী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী, গৌরীকুণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে উদ্ধারকার্য সরেজমিনে তদারকি করবেন। এযাবৎ অন্য কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছতে উদ্যোগী হননি।
বিজেপি-র এক নেতার মতে, প্রধানমন্ত্রী হলে যা যা করা দরকার, তা করতে শুরু করে দিয়েছেন মোদী।
রবিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বলিদান দিবসে মোদী পাঠানকোটের মাধোপুরা এলাকাতেও যাবেন। এখান থেকেই পঞ্জাব থেকে পারমিট ছাড়া জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। প্রথমে ওই অনুষ্ঠানে আডবাণীরও থাকার কথা ছিল। পরে আডবাণীর বাসভবন থেকে জানানো হয়, ওই অনুষ্ঠানে যাবেন না বর্ষীয়ান নেতা।
|
পুরনো খবর: আডবাণীকে খুশি করতে উদ্যোগী সঙ্ঘ |
|
|
|
|
|