|
|
|
|
নেই-রাজ্যে উদ্ধারে গতি চান মদন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খাবার নেই, ওষুধ নেই, জলের তীব্র অভাব। এই অবস্থায় বদ্রীনাথে আটকে রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার পর্যটক। তাঁদের মধ্যে বহু এ রাজ্যের। দ্রুত ওঁদের নামিয়ে না আনা গেলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। পর্যটকেরা ঘোর বিপদে পড়বেন। উত্তরাখণ্ডের টিহরি থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে এ ভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। এ ছাড়াও উত্তরাখণ্ডের গৌরীকুণ্ড এবং হিমাচলপ্রদেশের কিন্নর ও সাংলায় এ রাজ্যের অন্তত ১২০০ জন আটকে রয়েছেন। টিহরি জেলা প্রশাসন তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করলেও উদ্ধারের কাজে আরও
গতি আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন মদনবাবু।
রাজ্য সরকারের তরফে দুই মন্ত্রী মদন মিত্র ও রচপাল সিংহ এবং জনা কয়েক অফিসার উত্তরাখণ্ডে রয়েছেন। টিহরি থেকে আজ ৬৫ জনকে নামিয়ে আনা হয়েছে। হৃষীকেশেও একটি শিবির তৈরি হয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রায় ৭০ জনকে উপাসনা এক্সপ্রেসে কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের অফিসাররা উত্তরাখণ্ড সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। উত্তরাখণ্ডের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাকেশ শর্মা জানিয়েছেন, প্রথমে কেদারনাথে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের দিকে নজর দেওয়া হয়েছিল। এ বার বদ্রীনাথে আটকদের উদ্ধারে নামা হবে। |
 |
স্বজনের খোঁজ। ছবি: পি টি আই |
বদ্রীনাথে খাবার ফুরিয়ে গিয়েছে। আজ, শনিবার সকালে সেখানে বিমান থেকে খাবারের প্যাকেট না ফেলা হলে পর্যটকরা চরম বিপাকে পড়বেন বলে সেখানে আটক পর্যটকরা মদনবাবুকে জানিয়েছেন। তিনি জানান, বেশ কিছু মানুষ ট্রেক করতে গিয়েও নানা জায়গায় আটকে পড়েছেন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, “কেদার ও গৌরীকুণ্ডের আটকে পড়া পর্যটকরা কোনও ভাবে সীতাপুরে আসতে পারলে গাড়ি ও প্রয়োজনীয় সব কিছু পাবেন।” হরিদ্বার, হৃষীকেশ ও দেরাদুনে শিবির খোলা হয়েছে। এ দিন টিহরি থেকে মালদহের ৪৪ জন পর্যটককে একটি ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। দেরাদুন থেকে দিল্লিগামী বিমানে পর্যটকদের ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান কাম ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) তাঁর এক দিনের বেতন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন। ওই সংস্থার সব কর্মীকে সিএমডি অনুরোধ করেছেন, তাঁরাও যেন এক দিনের বেতন প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দেন।
এ দিকে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, জোশীমঠ এলাকায় গোবিন্দঘাটে অলকানন্দা নদীর উপরে একটি সেতু তৈরি হয়েছে। গোবিন্দঘাট এবং ঘাংঘারিয়ার মধ্যে রাস্তার ধসও মেরামত করা হয়েছে। এর ফলে পর্যটকরা অন্তত পায়ে হেঁটে নেমে আসতে পারবেন। তার পরেও আটকে থাকা সমস্ত মানুষকে উদ্ধার করতে পাঁচ-ছ’দিন লেগে যেতে পারে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের অনুমান। বদ্রীনাথ এবং ঘাংঘারিয়ায় সেনাবাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। তবে কপ্টারে করে যে খুব বেশি পর্যটককে উদ্ধার করা যাচ্ছে না, তা মানছেন সেনা-কর্তারা। তাঁদের হিসেবে, বদ্রীনাথ থেকে মাত্র ৯১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাংঘারিয়া থেকে আনা গিয়েছে ৩২২ জনকে। তবে আজ, শনিবার আরও বেশি হেলিকপ্টার নামানো হবে। আবহাওয়া ভাল থাকলে উদ্ধারকাজে সমস্যা হবে না বলেই তাঁদের ধারণা। তবে চিন্তার কথা একটাই, তিন-চার দিনের
মধ্যে ফের ওই এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
|
পুরনো খবর: ত্রাণশিবিরে পৌঁছেও কেউ কেঁদে চলেছেন, কেউ স্তব্ধ |
|
|
 |
|
|