|
|
|
|
ছাত্রীকে অপহরণ করে মারধর
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে পাঁশকুড়ার প্রতাপপুর এলাকায় বাড়ির কাছে আহত ও অচৈতন্য অবস্থায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। রাতেই নাবালিকাকে প্রথমে পাঁশকুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ওই ছাত্রীর এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জানান, “ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে এখনও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশীর এক আত্মীয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মাস খানেক আগে ওই যুবক নাবালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। নাবালিকার বাবা ওই যুবক এবং প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ রঞ্জন পাল নামে ওই প্রতিবেশীকে গ্রেফতারও করে। ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর তিনি জামিন পান। পরে পুলিশ ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে আদালতের নির্দেশে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়। এই নিয়ে উত্তেজনা ছিল। এরই মধ্যে গত সোমবার দুপুরে ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যায়। অভিযোগ, রঞ্জন পালের বাড়ির লোকেরা কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায় এবং ঘরে বেঁধে রেখে মারধর করেন। এদিকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে নাবালিকার বাবা পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতে নাবালিকাকে বাড়ির কাছে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে এবং ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। নাবালিকার বাবা রাতেই পাঁশকুড়া থানায় প্রতিবেশী রঞ্জন পাল ও তাঁর ভাই কাঞ্চন পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। পুলিশ কাঞ্চন পালকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার তাঁকে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |
|
|
|
|
|