অস্ত্রোপচার করে এক মহিলার পেট থেকে দশ কেজি ওজনের একটি টিউমার মিলল। মঙ্গলবার বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১০ তারিখ পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন কাশীপুর থানা এলাকার বাসিন্দা সুরাতন বিবি (৪৫)। চিকিৎসক তপন রায়ের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। পরীক্ষার পরে দেখা যায়, ডান দিকে ডিম্বাশয়ে একটি বড়সড় টিউমার রয়েছে। পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পরে দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। |
মঙ্গলবার ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করেন তপনবাবু। অস্ত্রোপচারের পরে টিউমারটি ওজন পরীক্ষা করে দেখা যায় সেটির ওজন প্রায় ১০ কেজি। তপনবাবু জানান, পেট ফুলে যাচ্ছিল আর অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছিল। সেই অবস্থা নিয়ে ওই মহিলা চিকিৎসা করাতে আসেন। এর আগেও অন্য দুটি হাসপাতালে ওঁর চিকিৎসা হয়েছিল। সেখানে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হলেও কেন হয়নি জানি না। ঝুঁকি ছিল ঠিকই তবে অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ওই মহিলাকে। আপাতত সুস্থ রয়েছেন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার জানান, যে সব ডিম্বাশয়ের টিউমারে ক্যানসারের কোষ থাকে, সেগুলি সাধারণত ছোট হয়। যেগুলি ক্যানসার নয়, সেগুলি বড় হয়। তবে এ ক্ষেত্রে ১০ কেজি ওজনের টিউমার সাধারণত কমই হয়।
|
ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে আসানসোল পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কন্যাপুর গ্রামে। প্রায় ৭০ জন গ্রামবাসী আক্রান্ত হয়েছেন। ১১ জনকে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার প্রথম গ্রামে ডায়রিয়া আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। মঙ্গলবার আসানসোল পুরসভা ও মহকুমা স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দল গ্রামে যান। পুরসভা জানায়, সব বাড়িতেই ওআরএস এবং ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, এলাকা পরিষ্কার রাখতে ও নিকাশির উন্নতিতে বাড়তি সাফাই কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। আসানসোল মাইনস বোর্ড অব হেলথের একটি দলও গ্রামে গিয়ে সাফাই ও নিকাশির কাজ চালাচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মহকুমা স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়ে গ্রামবাসীদের ডায়রিয়া মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অমরনাথবাবু জানিয়েছেন, পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ থেকে চিকিৎসা পরিষেবা সবকিছুই মজুত রাখা হয়েছে।
|
হাসপাতালের মধ্যে মশার আঁতুড়ঘরএই অভিযোগে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করল কলকাতা পুর আদালত। পুর সূত্রের খবর, শহরের সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোয় মশার লার্ভা আছে কি না গত বছর তা দেখতে বেরোয় পুরসভার বিশেষ দল। তখনই যাদবপুরে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মশার লার্ভা নজরে পড়ে পুরকর্মীদের। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ মঙ্গলবার বলেন, “জল জমা নিয়ে সব হাসপাতালকেই সতর্ক করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ওই বেসরকারি হাসপাতালে অন্তত ১২টি জায়গায় মশার লার্ভা পাওয়া যায়।” পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, পুর আদালত ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০০০ টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে তিন মাসের জন্য কারাদণ্ডের রায় দেয়। ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
|
ময়না তদন্ত হবে না শুনে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে এসএসকেএম হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১১ জুন বেলুড় চাঁদমারি থেকে পার্থ ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে চোলাই বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করে আবগারি দফতর। ওই দিনই তাঁকে আদালতে তোলা হয়। এর পরে ওই ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রাখা হয়। ১৬ জুন অসুস্থতার কারণে তাঁকে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বালি নিশ্চিন্দা থানা মারফত পার্থর বাড়িতে খবর পাঠান প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। ১৭ জুন হাসপাতালেই মৃত্যু হয় পার্থর। পুলিশ সূত্রের খবর, হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে ময়না তদন্তের সময়ে পুলিশকে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করতে হয়। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল হয়ে যাওয়ায় তা করা যায়নি। ফলে মৃতদেহের ময়না তদন্তও করা যাবে না বলে জানায় পুলিশ। এর পরেই মৃতের পরিজনেরা বিক্ষোভ দেখান।
|
এ বার রোগ নির্ণয়ের যন্ত্র তৈরির বাজারে পা রাখল স্যামসাং। ‘জিও’ ব্র্যান্ড-নামে এক্সজিও ডিজিটাল রেডিওগ্রাফি, ইউজিও আলট্রা সাউন্ড ডায়গন্স্টিক সিস্টেম ইত্যাদি তৈরি করবে সংস্থা। এতে নির্ভুল রোগ নির্ণয় সম্ভব হবে, দাবি তাদের। |