জমি বিক্রির দালাল চক্র একটি বাগান থেকে একের পর এক আমগাছ কেটে ফেলছে বলে অভিযোগ উঠল চুঁচুড়া-মগরা ব্লকের কোদালিয়া-২ পঞ্চায়েতের উত্তর সিমলায়।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মহেশপুরের বাসিন্দা বিজয় কৃষ্ণপালের প্রায় ৩ বিঘা জমিতে ৩০-৪০টি আমগাছ ছিল। কিছু দিন আগে একটা-একটা করে আমগাছ কাটা শুরু হয়। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, ওই জমি প্লট করে বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। তার আগে দালাল লাগিয়ে পূর্ণবয়স্ক গাছগুলি কেটে ফেলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অন্তত গোটা পনেরো গাছ কেটে সাফ করে ফেলা হয়েছে। |
ময়দান সাফ। চুঁচুড়ায় তাপস ঘোষের তোলা ছবি। |
গ্রামবাসীরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। জেলাশাসকের দফতর থেকে শুরু করে পরিবেশ দফতর, বনবিভাগ এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পর্যন্ত চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয় গ্রামবাসীদের তরফে। দিন কয়েক আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি দল তদন্তে আসে। যদিও সুরাহা কিছুই হয়নি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনের লোক চলে যাওয়ার পরে গাছ কেটে নেওয়ার গতি বেড়েছে। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এ বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিজয়বাবু অবশ্য মুখ খুলতে চাননি।
গ্রামবাসীরা অবশ্য হাল ছাড়তে নারাজ। বাকি গাছগুলি বাঁচাতে তাঁরা ইতিমধ্যেই সই সংগ্রহ শুরু করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণচন্দ্র হালদার, রণজিৎ হালদার, কমল মণ্ডল, মদন ঘোষ, সিদ্ধেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, “জমির মালিক দালাল দিয়ে প্লট আকারে বিক্রির জন্য পূর্ণবয়স্ক আমগাছ কেটে ফেলছে। পরিবেশে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। প্রশাসনকে আমরা সব জানিয়েছি। প্রশাসন নিশ্চুপ।”
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে জেলাশাসক মনমিত নন্দা বলেন, “গ্রামবাসীদের পাঠানো কোনও অভিযোগপত্র আমি পাইনি। জমির মালিক যদি বন দফতরের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটেন, তা হলে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই পরিস্থিতিতে একটি গাছও বাঁচবে কিনা, সেই প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা। |